বাংলাদেশে ঢুকে মাছ শিকারের সময় ট্রলারসহ ২৮ ভারতীয় জেলে আটক

মোংলা প্রতিনিধি: বঙ্গোপসাগরে দেশীয় পানিসীমায় মাছ শিকারের অপরাধে দুই ফিশিং ট্রলারসহ ২৮ ভারতীয় জেলেকে আটক করেছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের জাহাজ ‘বিসিজিএস স্বাধীন বাংলা’। এসময় ‘এফবি শঙ্খদীপ’ ও ‘এফবি স্বর্ণতারা’ নামের দুটি ভারতীয় ট্রলার ও ট্রলারে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির মাছ, জাল, দড়ি জব্দ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) ভোরে মোংলা সমুদ্রবন্দরের অদূরে বঙ্গোপসাগরের ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকা থেকে দুই ট্রলারসহ তাদের আটক করা হয়। শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ট্রলার ও মাছসহ তাদের মোংলা থানায় স্থানান্তর করেছে কোস্টগার্ড।
মোংলা কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের গোয়েন্দা দফতর সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গোপসাগরে দেশীয় পানিসীমায় প্রবেশ করে ট্রলারে করে মাছ ধরছিলেন ওই ৩৮ ভারতীয় জেলে। তারা বাংলাদেশ পানিসীমায় ১০.২ নটিক্যাল মাইল ভেতরে অবৈধ অনুপ্রবেশ করে মাছ শিকার করছিলেন। এসময় বঙ্গোপসাগরের ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকায় টহল দেয়ার সময় তাদের আটক করে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের জাহাজ ‘বিসিজিএস স্বাধীন বাংলা’।
আটক জেলেদের বাড়ি ভারতের দক্ষিণ-চব্বিশ পরগনা জেলার বিভিন্ন এলাকায় বলে জানা গেছে।
আটকদের বিরুদ্ধে ‘সামুদ্রিক মৎস্য অধ্যাদেশ ১৯৮৩’ এর ২২ ধারায় মামলা দায়েরের পর কারাগারে পাঠানোর কথা জানিয়েছেন মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল বাহার চৌধুরী।
মোংলা কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের গোয়েন্দা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মাজহারুল হক জানান, বঙ্গোপসাগরে ভারতীয় জেলেদের অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কোস্টগার্ডের পক্ষ থেকে নিয়মিত টহল অব্যাহত রয়েছে।
তিনি আরও জানান, সুন্দরবনে পানিদস্যু বনদস্যুদের অপতৎপরতার বিরুদ্ধে জিরো ট্রলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড। এছাড়া কোস্টগার্ডের এখতিয়ারভূক্ত এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীদের নির্মূল করাসহ বন্যপ্রাণী পাচারকারী এবং নিধনকারীদের বিরুদ্ধে কোস্টগার্ডের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযান অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এর আগে গত ১ ডিসেম্বর ভোরে একই এলাকা থেকে কোস্টগার্ড জাহাজ ‘সোনার বাংলা’ ১৭ ভারতীয় জেলে ও ২২ ডিসেম্বর ‘বিসিজিএস অপরাজেয় বাংলা’ ১৬ ভারতীয় জেলেকে আটক করে মোংলা থানায় হস্তান্তর করে।
এ পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারের অপরাধে চার ট্রলারসহ মোট ৬১ জেলেকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মোংলা কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন।
















