রাজধানীর বায়ু দূষণ রোধে করণীয় কি?

নিজস্ব প্রতিবেদক: শীতের শুষ্ক মৌসুমে এসে রাজধানীতে বিগত সময়ের তুলনায় ধুলার পরিমাণ বেড়েছে কয়েকগুণ। এর সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বায়ু দূষণ। রাজধানী ঢাকায় যে হারে উন্নয়ন কাজের নামে খোঁড়াখুঁড়ি চলছে তাতে দূষণের মাত্রা আরো কয়েকগুণ বেড়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার দূষণের মাত্রা অনেক বেশি। রোববার দুপুরে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেস্ক অর্থাৎ বায়ুমান সূচক (একিউআই) ঢাকার অবস্থান জানাচ্ছে ১৬৭, যা অস্বাস্থ্যকর। সবশেষ বিকাল তিনটা দিকে ছাড়িয়ে যায় ১৭৪-এ। বায়ুতে ক্ষুদ্র বস্তুকণা ও চার ধরনের গ্যাসীয় পদার্থ পরিমাপ করে এ সূচক তৈরি করা হয়।
রাজধানীর বায়ু দূষণ পরিমাপ স্টেশন নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। পরিবেশ অধিদফতরের তত্ত্বাবধানে রাজধানীর তিনটি পয়েন্টে সার্বক্ষণিক বায়ু দূষণ স্টেশনে বায়ু পরীক্ষা করা হয়। সেই তিনটি স্টেশন হচ্ছে সংসদ এলাকা, ফার্মগেটের বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল এবং দারুস সালামে।
প্রশ্ন উঠেছে এই যন্ত্র দিয়ে কি শাহবাগ, পল্টন, যাত্রাবাড়ি, বেঁড়িবাঁধের বায়ুর পিএম ২.৫ পাওয়া যাবে? সংসদ এলাকায় এমনিতেই দূষণের হার কম থাকে। তাই পুরো ঢাকায় বায়ুমান সূচক বা বা পিএম ২.৫-এর প্রকৃত মাত্রা আরও ভয়ানক।
বায়ু দূষণ নিয়ে আজ সোমবার (২৫ নভেম্বর) আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ডাকা হয়েছে। রাজধানীর বায়ু দূষণ নিয়ে উদ্বিগ্ন সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থা। সেই সভায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থার করণীয় বিষয়ে আলোচনা হবে। এভাবে এক সংস্থা আরেক সংস্থার ওপর দোষারোপ না করে কীভাবে সহনীয় মাত্রায় রাখা যায়, সে নিয়ে আলোচনা হবে।
এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. এ কে এম রফিক আহাম্মদ বলেন, সমস্যা আছে বলেই তো আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ডাকা হয়েছে। এখানে আমাদের করণীয় কী? আমরা নিয়মিত অভিযান করছি জরিমানা করছি এর চেয়ে বেশি কি করতে পারি? তাই আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় ঠিক হবে কার কী করতে হবে।’
বায়ুদূষণ রোধে পদক্ষেপ চেয়ে আবেদন:
রাজধানীতে বায়ুদূষণ রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চেয়ে করা আবেদনের ওপর আগামীকাল মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) আদেশের জন্য দিন রেখেছে হাইকোর্ট। গতকাল রোববার (২২ নভেম্বর) এ দিন ধার্য করেন বিচারক এফআরএম নাজমুল আহসান ও বিচারক কেএম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
আবেদনকারী আইনজীবিরা জানান, ঢাকায় বায়ুদূষণ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। আমরা গত সপ্তাহে আদালতে একটি আবেদন করেছি- এই মুহূর্তে জরুরি নির্দেশনা দরকার ধুলাবালি বন্ধে। সিটি করপোরেশন ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়া কীভাবে স্বাস্থ্য রক্ষা হয়। সে আবেদন শুনানি করার প্রাক্কালে সিটি করপোরেশন টাইম নিয়েছে।
















