চালের দাম বাড়িয়ে মানুষ কি ফ্লাইওভার চেয়েছিলো?
চালের দাম কেজিতে ৪০ টাকার নিচে আর নামবে না বলে মনে করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। এর নিচে নামা বাস্তবসম্মত নয় বলেও তাঁর ব্যক্তিগত ধারণা। গত বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে ‘চা প্রদর্শনী-২০১৮’ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তোফায়েল আহমেদ এসব কথা বলেন।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে চালের দাম বাড়িয়ে, নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে সে টাকা দিয়ে দেশের মানুষ ফ্লাইওভারে চড়বে, মেট্রোরেলে চড়বে, বড় বড় শপিং মলে গিয়ে চড়া দামে মার্কেট করবে এমনটি দেশের কত পার্সেন্ট মানুষ চেয়েছিলো? না, এটা এদেশের কোটি কোটি সাধারন মানুষরা চায়নি। চেয়েছিলো এদেশের লোভী প্রশাসনের লোকগুলো, চেয়েছিলো মজুদদার ও সিন্ডিকেট ব্যবাসায়ীরা।
গুটিকতক লোকের লোভের করুণ পরিণতি ভোগ করছে আজ দেশের কোটি কোটি মানুষ। তারা এখন আর সঞ্চয় করাতো দূরের কথা, যতটুকু সঞ্চয় ছিলো ততটুকুই ভেঙ্গে খরচ করছেন, যতটুকু কামাই করেন সেটা নিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন।
দেশের মানুষের সেবা করতে হলে ফ্লাইওভার, মেট্রোরেলের উন্নতির আগে মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলোকে হাতের নাগালে রাখতে হবে। এটাই হবে প্রকৃত উন্নতি। ইউরোপ-আমেরিকার অনেক দেশই আছে যেখানে বড় বড় দালান আছে, শপিং কমপ্লেক্স আছে, বিশাল চওড়া রাস্তা আছে কিন্তু দেশের মানুষ অভাবের তাড়নায় লুটপাট করছে, মহিলারা নিজেদের ইজ্জত বিক্রি করছে। নাউযুবিল্লাহ!
লুটেরাদের কারণে বাংলাদেশও কি আজ সে পথে এগুচ্ছে? দেশের সার্বিক অর্থনীতি তো সেটাই জানান দিচ্ছে। কিন্তু এটা হতে দেয়া যাবে না। দেশের সকল মানুষকে এখনই প্রতিবাদী হতে হবে। এ সকল বৈষম্য ও জুলমবাজি থেকে পরিত্রান পেতে হলে সাহসী ও প্রতিবাদী হওয়ার বিকল্প নেই।