আহাদ (রবিবার), ০৬ অক্টোবর ২০২৪

চাহিদা বেড়েছে, বাড়ছে চায়ের দাম

চাহিদা বেড়েছে, বাড়ছে চায়ের দাম

মৌলভীবাজার সংবাদদাতা: চাহিদা বেড়েছে চায়ের। ফলে বাজারে চায়ের দাম বাড়ছে। প্রতিটি নিলামে চায়ের দাম বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। চা ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, দেশে লকডাউন থাকায় এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত চা ব্যবসায় মন্দা অবস্থা বিরাজ করছিল। বর্তমানে চায়ের বাজারে আগুন।
বাংলাদেশ চা বোর্ড সূত্র জানায়, ২০২০ সালে চায়ের বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ কোটি ৭০ লাখ কেজি। কিন্তু এ বছর জুলাই পর্যন্ত চায়ের উৎপাদন পরিমাণ দাঁড়ায় ৩ কোটি ৩৯ লাখ ৯০ হাজার কেজি। ২০১৯ সালে বাংলাদেশ চা বোর্ডের (বিটিবি) উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮ কোটি কেজি। কিন্তু উৎপাদন হয় সাড়ে ৯ কোটি কেজি। এর মধ্য দিয়ে চা-শিল্পের ইতিহাসে সর্বকালের সেরা রেকর্ড করেছিল বাংলাদেশ।

চায়ের চাহিদার বড় অংশ টং দোকান, হোটেল-রেস্টুরেন্টগুলো। এখানে অধিক পরিমাণে চা ব্যবহার হয়। লকডাউনের পর মার্চ থেকে টং দোকান ও হোটেল রেস্তোঁরাগুলো বন্ধ থাকায় চা ব্যবসা হয়নি। এখন সীমিত আকারে খুলে ব্যবসা অনেক কমলেও চাহিদা বাড়ায় বেড়েছে চায়ের মূল্য।

শ্রীমঙ্গল স্টেশন রোডের সেলিম টি হাউসের সত্ত্বাধিকারী সেলিম আহমেদ জানান, সর্বনিম্ন ১৭০ টাকা কেজির চা পাতা ২২০ টাকা দামে বেড়েছে। আগামীতে চায়ের দাম আরও বাড়বে। শ্রীমঙ্গলের বাজারে ক্লোন টি (ছোট দানা) প্রতি কেজি ২৬০ টাকা থেকে বেড়ে ২৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৩৫০ টাকার চা ৩৮০ টাকায় এখন বিক্রি হচ্ছে। বিটি-২ গ্রেডের চা ৪০০ থেকে বেড়ে ৪৫০ টাকাতে বিক্রয় হচ্ছে। দেশের সবচেয়ে উন্নত চা বিটি-গোল্ড বা টি-গোল্ড ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায় এবং গ্রীন-টি ৬৫০-৭০০ টাকা কেজি দরে বাজারে বিক্রি হচ্ছে।

শ্রীমঙ্গল নাহার চা বাগানের ব্যবস্থাপক বলেন, চোরাইপথে চা আসা বন্ধ এবং আমদানি না থাকাও চায়ের দাম বাড়ার কারণ। বর্তমানে হোটেল মোটেল ও রেষ্টুরেন্ট খোলার কারণেও চাহিদা বেড়ে দাম বাড়ছে বলে জানান তিনি।

এ প্রসঙ্গে শ্রীমঙ্গল স্টেশন রোডের ব্যবসায়ী ও পপুলার টি হাউসের শহীদ আহমেদ বলেন, চায়ের চাহিদা বেড়ে গেছে। বিশেষ করে বাংলাদেশে বিভিন্ন চা প্যাকেটজাত কোম্পানি চা পাতা ক্রয় করে স্টক করার কারণে চায়ের দাম বাড়ার কারণ। তারা আরও বলেন, ভারতীয় চা দেশে না আসা, দেশে চায়ের বাজারের জন্য ভালো।

Facebook Comments Box