ভেরেন্ডায় বিকল্প জ্বালানি!

নিউজ ডেস্ক:ইংরেজি নাম জাট্রোফা। এর কয়েকটি প্রজাতি রয়েছে। এর মধ্যে ‘জাট্রোফা কারকাস’ বাংলাদেশে ভেরেন্ডা নামে পরিচিত। তবে কেউ কেউ এটাকে ‘সাদা মান্দার’ও বলেন। ভেরেন্ডার বীজ থেকে অনেকেই তেল বের করে সেটা কাজে লাগান। কাজটি একটু বড় পরিসরে করলে বাংলাদেশ অনেক বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করতে পারবে। প্রতি বছর বাংলাদেশ প্রায় ৩৭ লাখ টন (পরিশোধিত ও অপরিশোধিত) জ্বালানি তেল আমদানি করে। এর প্রায় ২৪ লাখ টনই ডিজেল, যার মোট আমদানি মূল্য ১৪ হাজার কোটি টাকারও বেশি। সরকার বেশি দামে ডিজেল কিনে কম মূল্যে জনগণকে সরবরাহ করে? ফলে প্রতি বছর হাজার কোটি টাকারও বেশি লোকসান গুণতে হয় সরকারকে। তাই বায়োডিজেল উৎপাদনে ভেরেন্ডাকে কাজে লাগালে সরকারের লোকসান কমবে। হিসাবে দেখা গেছে, ১ হেক্টর জমিতে জন্মানো জাট্রোফা থেকে প্রতি বছর প্রায় ৩ থেকে ৪ হাজার লিটার বায়োডিজেল উৎপাদন করা সম্ভব। ভেরেন্ডা থেকে বায়োডিজেল উৎপাদনের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে জ্বালানি মন্ত্রণালয় ২০০৬ সালে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে। কমিটি ২০০৭ সালে তাদের মূল্যায়ন প্রতিবেদন দাখিল করলেও আজ পর্যন্ত এ ব্যাপারে সরকারি কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। বাংলাদেশে অতি সহজেই বায়োডিজেল উৎপাদন সম্ভব। কারণ, সরকারের ‘সামাজিক বনায়ন’ কর্মসূচির মাধ্যমে ভেরেন্ডা রোপণ ও পরিচর্যার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে ভেবে দেখা যেতে পারে। কারণ, বিকল্প জ্বালানির উৎসের সন্ধান পাওয়া না গেলে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করা সম্ভব নয় বলে মনে করেন অনেক বিশেষজ্ঞ অনেক দেশেই এখন ভেরেন্ডা থেকে বায়োডিজেল উৎপাদন করা হচ্ছে। সূত্র : ডয়েচে ভেলে।















