ইসনাইন (সোমবার), ০৬ মে ২০২৪

পশুর উচ্ছিষ্টাংশ রফতানিতে ১০ শতাংশ নগদ সহায়তা

পশুর উচ্ছিষ্টাংশ রফতানিতে ১০ শতাংশ নগদ সহায়তা

নিজস্ব প্রতিবেদক : পশুর উচ্ছিষ্টাংশ রফতানিতে ১০ শতাংশ নগদ সহায়তা পাবে রফতানিকারক। অর্থাৎ কেউ ১০০ টাকার পণ্য রফতানি করলে সরকার তাকে দেবে ১০ টাকা। তার প্রাপ্ত অর্থ দাঁড়াবে ১১০ টাকা। এছাড়া রফতানি প্রণোদনায় নতুন করে যুক্ত হলো ১৩টি পণ্য।

সোমবার সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে অর্থমন্ত্রী আ হ মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে রফতানির বিপরীতে সরকার প্রদত্ত নগদ সহায়তার বিদ্যমান হারসমূহ পুনর্নির্ধারণ ও নতুন নতুন খাতে নগদ সহায়তা প্রদান বিষয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভা শেষে অর্থসচিব আবদুর রউফ তালুকদার সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘রফতানি খাতে প্রণোদনা দিয়ে থাকি। আজকের সভাটি ছিল বাৎসরিক সভা। আজ আমরা নতুন কিছু খাতে নগদ সহায়তা বাড়িয়েছি। যাচাই-বাছাই করে বেশ কয়েকটি পণ্যে প্রণোদনা বাড়িয়েছি।

আরো পড়ুন : কুরবানীর পশুবাহী ট্রাকে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে: ওবায়দুল কাদের

‘এর মধ্যে গার্মেন্টস খাতে ইউরোপ আমেরিকায় পণ্য রফতানিতে এক শতাংশ প্রণোদনা, মেডিকেল সার্জিক্যাল যন্ত্রাংশে ১০ শতাংশ, গরু-মহিষের নাড়িভুঁড়ি ও শিং রফতানিতে, পাটকাঠি থেকে উৎপাদিত কার্বন, ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য, কেমিক্যাল পণ্য, সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার ও আইটিইএস পণ্য, শস্য, শাক সবজি, পেট বোওলে, সুপারি পাতার তৈরি পণ্য, ঝুট কাপড় দিয়ে তৈরি পণ্যে ১০ শতাংশ প্রণোদনা দেয়া হবে। এছাড়া ‘সি’ ক্যাটাগরির সিনথেটিক পণ্য, ইপিজেডের এগ্রো প্রসেসিং পণ্যে ৪ শতাংশ প্রণোদনা দেয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।’

আরো পড়ুন : পবিত্র কুরবানী উপলক্ষে উম্মতের দায়িত্ব কি?

তিনি বলেন, গার্মেন্টসে বর্তমানে চার ক্যাটাগরিতে আর্থিক সুবিধা দিয়ে থাকি। তবে যারা ইউরোপ-আমেরিকায় গার্মেন্টস পণ্য রফতানি করে তারা এ সুবিধা পায় না। চলতি বাজেটেই বলা হয়েছে যারা কোনো সুবিধা পায় তাদেরও এক শতাংশ সুবিধা দেয়া হবে। তবে বর্তমানে যারা পাচ্ছেন তারা নয়। যারা চার ক্যাটাগরিতে পান না তারাই এ সুবিধা পাবে।

আরো পড়ুন : ঢাকা শহরে কুরবানির হাট বৃদ্ধি চেয়ে মেয়রের কাছে চিঠি

তিনি বলেন, হালকা প্রকৌশল খাতের মধ্যে ওয়ালটন হোম অ্যাপ্লায়েন্সের ওপর আবেদন করলে সেখানে নতুন করে প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে আগের নিয়ম অনুযায়ী ১০ শতাংশ প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। নতুন করে প্রণোদনার আওতায় আসা সবাইকে ৩০ শতাংশ ভ্যালু এডিশন ও শতাভাগ কাস্টমসের আওতাভুক্ত হতে হবে বলে জানান তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাষ্ট্রে কর্মসংস্থান বাড়ানোর জন্যই রফতানিতে প্রণোদনা বাড়ানো হচ্ছে। সরকারের মূল উদ্দেশ্যই হলো কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। প্রতি বছর আমাদের ২ মিলিয়ন লোকের কর্মসংস্থান হচ্ছে। আমরা কাস্টমস ট্রাক্স কম পাচ্ছি তার মানে আমাদের গার্মেন্টস যন্ত্রাংশ ও শিল্পের কাঁচামাল আমদানি হচ্ছে। এতে করে দেশে নতুন শিল্প কারখানা হবে। পাশাপাশি নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। আমাদের জিডিপি গ্রোথ ৮.২ শতাংশ অর্জন করাই মুল লক্ষ্য। আমাদের এখন যারা বেকার তারা সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত। এজন্য আমাদের ট্যাকনিক্যাল শিক্ষা ব্যবস্থার দিকে যেতে হবে।

Facebook Comments Box