জুমুআ (শুক্রবার), ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সামন্য বৃষ্টিতেই মালিবাগ মৌচাক সড়ক খালে পরিনত

 আবহাওয়া বদলে গেলেও পরিবর্তিত হয়নি মগবাজার-মালিবাগ ফ্লাইওভারের নিচের অবস্থার। এক রাতের বৃষ্টিতেই খাল হয়ে উঠেছে সড়কটি।

সোমবার (২০ মার্চ) বেলা সাড়ে এগারোটা থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। আকাশ কেঁদেছে রোববার (১৯ মার্চ) রাতেও। তবে খুব ভারি বৃষ্টি বলা যাবে না। এটুকু বৃষ্টিতেই পানি জমে রামপুরার আবুল হোটেল থেকে মালিবাগ, মৌচাক মোড় হয়ে রাজারবাগ ও শান্তিনগর পর্যন্ত রাস্তা কাদা-পানির খাল হয়ে আছে।

হঠাৎ দেখলে বিশ্বাস করতে কষ্ট হবে যে, এটি রাজধানীর কোনো রাস্তা! মানুষের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না, এ রাস্তা পার হওয়া। অনেকেই রিকশায় চড়ে গেলেও খাদে রিকশা উল্টে পড়ার দৃশ্য দেখা গেছে।

শান্তিনগরের পর থেকে মালিবাগ মোড় হয়ে মৌচাক পর্যন্ত সড়কটিতে তো মানুষের হাঁটারও উপায় নেই। বৃষ্টির পানিতে ময়লা মিশে বের হচ্ছে দুর্গন্ধ। শিক্ষার্থীদের ইউনিফর্ম নিয়ে পড়তে হচ্ছে চিন্তায়, বড় গাড়িগুলো যাওয়ার সময় না আবার কাদা ছিটিয়ে দিয়ে যায়।

ফুটপাথগুলো কিছু জায়গায় ভেঙে পড়েছে। সেখানেও হাঁটা-চলার উপায় নেই।

এক বাসের হেলপার বলেন, ‘এখানে বাস থামানো হলেও মানুষ উঠতে পারেন না। নামাতেও সমস্যা হয়। বাধ্য হয়ে কাদা-পানির ওপরই যাত্রী ওঠানো-নামানো হয়’।

মগবাজারের যাত্রী রাহুল বলেন, ‘গত ৫ বছর ধরে এ যন্ত্রনার সঙ্গে চলতে চলতে আমরা অভ্যস্ত। রামপুরার রাস্তায়তো রিকশাও চলতে পারে না। পানির নিচে রয়েছে গুপ্তখাদ। সেগুলোতে পড়ে অনেক দুর্ঘটনা ঘটছে। এসব মিডিয়ায় এলেও আমলে নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ’।

বর্তমান সময়ে রাজধানীবাসীর সবচেয়ে বড় দুর্ভোগের নাম নির্মাণাধীন মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার। ২০১৪ সালের মধ্যে এ ফ্লাইওভারের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও কবে কাজ আর মানুষের দুর্ভোগের শেষ হবে, তার উত্তর কারো কাছেই নেই।

ফ্লাইওভারের মালিবাগ-রাজারবাগ-শান্তিনগর অংশের পিলারগুলো এখনো মাটিতে বসানোর কাজ চলছে। তবে সোমবারের বৃষ্টিতে কাউকে কাজও করতে দেখা যায়নি। রামপুরার রিকশাচালক হাসান বলেন, প্রতিদিনই এখানে দুর্ঘটনা ঘটছে। খাদে পানি জমে থাকায় বোঝা যায় না। আর এখন বৃষ্টিতেতো আন্দাজে রিকশা চালাতে হচ্ছে।

এখানকার মানুষ এখন এই ফ্লাইওভার এবং তার নিচের দুর্ভোগকে বলছেন, ‘উন্নয়নের বিড়ম্বনা’। এতো যন্ত্রণাদায়ক উন্নয়ন বাংলাদেশে আর হয়েছে কি-না- প্রশ্ন নগরবাসীর!

Facebook Comments Box