ইসনাইন (সোমবার), ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫

দাম কেন বাড়ে জানে না খুচরা ব্যবসায়ীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক: দৃশ্যমান কোনো কারণ না থাকলেও নিত্যপণ্যের বাজারে গত দুই সপ্তাহ ধরেই দামবৃদ্ধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে কেন দাম বাড়ছে তার যৌক্তিক কোনো কারণও জানেনা খুচরা ব্যবসায়ীরা।

দফায় দফায় বাড়ছে আদা, রসুন, ভোজ্যতেল, ডাল, চালসহ মরিচ ও হলুদগুড়ার দাম। পাইকারি বাজারে দাম বেড়েছে শুনলেই মজুদ রাখা পণ্যের দাম আরও বাড়িয়ে দিচ্ছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। এভাবে প্রতিদিনই ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ায় নির্বিচারে পকেট কাটা পড়ছে সাধারণ ক্রেতাদের।

রোজার প্রায় তিন মাস আগে থেকেই ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়তে থাকায় বাজারে আদৌ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছে। প্রতি বছরই রমজান মাস সামনে রেখে আগে থেকেই নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে নেয়ার অঘোষিত একটি চেষ্টা চালিয়ে থাকে ব্যবসায়ীরা।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, বর্তমানে অস্থির বাজারের পেছনেও ব্যবসায়ীদের তেমন অপচেষ্টা কাজ করছে কিনা, খতিয়ে দেখে আগাম ব্যবস্থা নেয়া দরকার। কোনো ধরনের যৌক্তিক কারণ ছাড়া নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়া এবং বাজারকে অস্থির করে তোলা সভ্য সমাজের কাজ নয়। বাড়িয়ে দেওয়া নিত্যপণ্যের দাম পরে কমে এসেছে তেমন নজিরও খুব কম। এ অবস্থায় সার্বক্ষণিক বাজার মনিটরিংয়ের মাধ্যমে নিত্যপণ্যের দাম যৌক্তিক রাখার বিকল্প নেই বলেই তাদের পরামর্শ।

দাম বাড়ার সঠিক কারণ কি তাও জানাতে পারছে না খুচরা ব্যবসায়ীরা। ফলে সরকার ও জনগণকে জিম্মি করে কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে ব্যবসায়ীরা নিজ থেকে দাম বাড়িয়ে অতি মুনাফা হাতিয়ে নিচ্ছে কিনা সেটি তদারকি করতে পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
অন্যদিকে শুষ্ক মৌসুমে দেশে উৎপাদিত সবজিতে বাজার ভরতি হলেও প্রায় সব সবজিরই দাম বেড়েছে।

পলাশী বাজারে তাহমিনা আহমেদ নামের এক ক্রেতা বলেন, আসলে কোনো কিছুরই দাম বাড়ানো-কমানোর পেছনে যৌক্তিক কোনো কারণ অন্তত আমাদের দেশে নেই। এখানে ব্যবসায়ীদের মর্জিই চূড়ান্ত। এই সরকারি চাকুরের মতে, বর্তমান বাজারে অস্থিরতার পেছনেও ব্যবসায়ীদের সেই মানসিকতাই কাজ করছে।

Facebook Comments Box