আরবিয়া (বুধবার), ০১ মে ২০২৪

মার্কিন নৌ মহড়ায় অংশ নেবে মিয়ানমার

মার্কিন নৌ মহড়ায় অংশ নেবে মিয়ানমার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আগামী সপ্তাহে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নৌ মহড়ায় যোগ দেবে মিয়ানমারের নৌবাহিনী। যদিও রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের সেনা কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ওয়াশিংটন।

আসিয়ান জোটভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নৌ মহড়ায় মিয়ানমার বাহিনীর অংশগ্রহণের বিষয়টি বুধবার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন দেশটির সশস্ত্র বাহিনী প্রধানের কার্যালয়ের মুখপাত্র জ মিন তুন। চ্যানেল নিউজ এশিয়ার।

সিঙ্গাপুর ভিত্তিক ওই সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই বছর আগে ৭ লাখ ৪০ হাজার (প্রকৃত সংখ্যা হবে প্রায় ১২ লাখ) রোহিঙ্গা মুসলিম নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নিলে মিয়ানমারের সেনা প্রধান ও তিন সিনিয়র কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, ওই নিধনযজ্ঞকালে প্রধান ভূমিকা মিয়ানমার সেনাবাহিনী রাখলেও যুক্ত ছিল নৌবাহিনীও।

আসিয়ান (অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ-ইস্ট এশিয়ান ন্যাশনস) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১০টি দেশ নিয়ে গঠিত একটি আঞ্চলিক জোট। সেপ্টেম্বরের ২ তারিখ থেকে থাইল্যান্ড উপসাগরে এ জোটের নৌমহড়া শুরু হবে। তাতে যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি অংশ নিতে চলেছে মিয়ানমারও।

এসব অভিযোগে মিয়ানমার সামরিক বাহিনীকে যখন আরও নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি ও একঘরে করার দাবি উঠছে, সেই মুহূর্তে তাদের দলে ভিড়িয়ে নৌমহড়ায় অংশগ্রহণের সিদ্ধান্তে দেশ-বিদেশে যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা শুরু হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ফর্টিফাই রাইটসের মুখপাত্র জন কুইনলে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত হলো আন্তর্জাতিক মহলের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে জবাবদিহিতার জন্য মিয়ানমারের ওপর আরও চাপ প্রয়োগ করা। তাদের সঙ্গে সামরিক মহড়ায় অংশ নেওয়া নয়।

রোহিঙ্গা বিষয়ক মানবাধিকার কর্মী তুন কিন যৌথ এ মহড়াকে এক কথায় ‘অত্যন্ত বেদনার’ বলে অভিহিত করেছেন।

তিনি বলেন, মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর প্রধানকে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনে অভিযুক্ত করার এক সপ্তাহ পরেই যুক্তরাষ্ট্র তাদের সঙ্গে মহড়া করছে।

এদিকে মিয়ানমারের মুখপাত্র বলেন, আসিয়ানভুক্ত দেশ হওয়ায় আমরা আসন্ন এ মহড়ায় অংশগ্রহণের প্রস্তাব পেয়েছি। সামরিক কর্মকর্তাদের ওপর আরোপিত যুক্তরাষ্ট্রের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি ভিন্ন। ওই নিষেধাজ্ঞা ব্যক্তিগত, কিন্তু এ মহড়ার বিষয়টি আসিয়ান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি সমন্বয়।

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রও এ মহড়াকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সমুদ্রঅঞ্চলে যৌথ নিরাপত্তা নিশ্চিতের প্রশ্নে গুরুত্বপূর্ণ বলে অভিহিত করেছে। দেশটির স্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকে বলা হয়, আসিয়ানের ১০টি দেশ নিয়ে আয়োজিত এ মহড়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সমুদ্র অঞ্চলে জরুরি নিরাপত্তা বিষয়ে কাজ করার একটি সুযোগ।

সূত্র: চ্যানেল নিউজ এশিয়া

Facebook Comments Box