খামিছ (বৃহস্পতিবার), ২৫ এপ্রিল ২০২৪

খুনীদের বাঁচাতে এনটিভি’তে ‘প্রতারণাপূর্ণ’ প্রতিবেদন প্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ-সম্মেলন

খুনীদের বাঁচাতে এনটিভি’তে ‘প্রতারণাপূর্ণ’ প্রতিবেদন প্রচার

স্টাফ রিপোর্টার : সম্প্রতি এনটিভি নামক বেসরকারি টিভি চ্যানেলে প্রচারিত সাংবাদিক সফিক শাহীনের একটি প্রতিবেদনে আশুলিয়ার চাঞ্চল্যকর শিশু হত্যা মামলার চার্জশিটভূক্ত খুনীদের পক্ষাবলম্বন এবং খুনীদের বাচাতে বাদী ও সাক্ষী হিসেবে আমার ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে জঘণ্য মিথ্যাচারের প্রতিবাদে আপনাদের সম্মুখে আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে ৩য়তলায় কনফারেন্স রুমে উপস্থিত হয়েছি।

প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা,

আপনাদের হয়তো জানা আছে বিগত ১১/১০/২০১৯ তারিখে এনটিভি “মামলাবাজ সিন্ডিকেট” শীর্ষক একটি ধারবাহিক প্রতিবেদন প্রচার করে।  সেটা তাদের দুপুরের খবর, মধ্যাহ্নের খবর, সন্ধ্যার খবর, রাতের খবর ইত্যাদি বিভিন্ন সংবাদের মধ্যে আমার নামে মিথ্যা, বানোয়াট কাহিনী প্রচার করে।

সেখানে দেখানো হয়, আশুলিয়া থানার চারাবাগ এলাকার হত্যা মামলার চার্জশীটভূক্ত আসামী ফযলে হামীম সায়মন, সোহরাব হোসেনগং (মামলা নং ১৬৮৮/১৮) এবং মাহবুবুর রহমান খোকন, নাজমা আক্তার এরকম কিছু প্রতারক শ্রেণীর লোক আমার নামে বিভিন্ন মিথ্যা মামলার অভিযোগ করছে।

সেই প্রতিবেদনে এনটিভির রিপোর্টার শফিক শাহীন বলেছে, আমি নাকি “শতাধিক মানুষের বিরুদ্ধে দায়ের করা, অন্তত ১০ টি মিথ্যা মামলার বাদি।” এরকম আরো অনেক মিথ্যা মামলা নাকি আমি পরিচালনা করছি।

আমি নিশ্চিত, সফিক শাহীন খুনীদের দ্বারা প্ররোচিত হয়ে খুনীদের বাঁচাতে এরুপ চরম মিথ্যা, বানোয়াট ও প্রতারণাপূর্ণ প্রতিবেদন এনটিভিতে প্রচার করে, যেখানে মামলার বাদী হিসেবে বিন্দুমাত্র আমার সাথে যোগাযোগ করা হয়নি, উপরন্তু আমার অগোচরে ভিডিও করে সেটা টিভিতে প্রচার করে উল্টো আমাকে দোষী হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে।  সে যদি নিরপেক্ষ ও সৎ সাংবাদিক হতো, তবে সে আড়াল থেকে লুকিয়ে কেন আমার ছবি তুললো ? কেন সামনে থেকে আমার বক্তব্য নিলো না ?  তার ভয় কিসের ?

প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা,

আমি উক্ত প্রতারণাপূর্ণ রিপোর্টের মুখোশ উন্মোচনের জন্য আপনাদের জ্ঞাতার্থে মূল ঘটনা তুলে ধরছি।

আমি মুহম্মদ মফজিুল ইসলাম। আমার শশুড়বাড়ী আশুলয়িা থানার চারাবাগ ইউনয়িনের কুমকুমারী গ্রামের খলিফাবাড়ী।  আমি এই মামলার বাদী।

অত্র মামলার ভিকটিম মোঃ আব্দুস সাত্তার আহরার, বয়স- ১৩ বছর সম্পর্কে আমার শ্যালক (স্ত্রীর ছোট ভাই)। ঘটনার তারিখ বিগত ২৯/০৮/২০১৬ ইং, সময়- অনুমান সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিট।

অত্র মামলার ঘটনার ১৫ দিন আগে আমার শ্বশুর (ভিকটিমের বাবা) মারা যান। আমি আমার স্ত্রী সহ শশুড় বাড়ীতে অবস্থান করতাম। ঘটনার দিন আমার শ্যালক (ভিকটিম) সন্ধ্যার আগ মূহূর্তে ঘর থেকে বের হয়ে যায়। অনেক রাত পর্যন্ত বাসায় না ফিরে আসায় আমরা চিন্তিত হয়ে যাই রবং বিভিন্ন স্থানে অনেক খোজা খুজি করি। এবং আমাদের খোজা খুজি অব্যাহত থাকে কিন্তু শ্যালককে না পেয়ে বিগত ৩১/০৮/২০১৬ ইং তারিখ আমার অপর শ্যালক আহমদুল্লাহ মাসুম আশুলিয়া থানায় সাধারণ ডাইরী করেন।  খোজা খুজি অব্যাহত থাকা কালে বিগত ০৮/০৯/২০১৬ ইং তারিখ কামাল সিকদার নামের আমাদের এক পরিচিত ব্যাক্তি আমাদেরকে জানায় যে, বিগত ২৯/০৮/২০১৬ ইং তারিখ সন্ধ্যা ৭.৩০ ঘটিকায় আসামী সজিব আমার শ্যালককে নিয়ে তার বাসায় যায়। সজীব তার পরিবার অর্থাৎ পিতা-মাতা সহ আমাদের এলাকায় ভাড়াটিয়া হিসাবে বসবাস করত। আমি সজিব এর মা বাবার কাছে আমার শ্যালক এর কথা জিজ্ঞাসা করলে তারা জানায় যে, আমরাও খোজা খুজি করে সজীব ও আব্দুস ছাত্তারের বিষয়ে খবর জানাবো। কিন্তু কোন খবর না দেওয়ায় আমি সজিব এর বাসায় গিয়ে জানতে পারি গত ১৫/০৯/২০১৬ ইং তারিখ সজিবের মা বাবা সহ অন্যান্যরা উক্ত বাসা ছেড়ে চলে গেছে। আমি আসামীদের গ্রামের বাড়ীর ঠিকানা সংগ্রহ করে বিগত ১৭/০৯/২০১৬ ইং তারিখ সজীবের গ্রামের বাড়ীতে যাই । সেখানে গিয়ে জানতে পারি যে, সজীব এর পুরো পরিবার (মা-বাবা) সহ আবার ঢাকায় চলে এসেছে এবং তাদের সাথে একজন নাবালক ছেলে ছিল। ঐ নাবালক ছেলেটি আমার শ্যালক আব্দুস ছাত্তার আহরার ছিল মনে করিয়া এবং আমার শ্যালকের খোজে না পেয়ে অপহরণ হয়েছে মনে করিয়া বিগত ২৫/০৯/২০১৬ ইং তারিখে আশুলিয়া থানায় মামলা করতে যাই, উক্ত থানা মামলা গ্রহন না করায় আমি বাদী হইয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল নং-০১, ঢাকায় বিগত ২৮/০৯/২০১৬ ইং তারিখে লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। বিজ্ঞ আদালত আমার অভিযোগটি  গ্রহণ করিয়া উহা এজাহার হিসাবে গণ্য করার জন্য আশুলিয়া  থানা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিলে বিগত ০৭/১০/২০১৬ ইং তারিখ আশুলিয়া থানায় অত্র মামলাটি এজাহার হিসাবে গণ্য করিয়া তদন্ত শুরু করে।

তদন্তের এক পর্যায়ে বিগত ০৭/০১/২০১৭ ইং তারিখ থানা পুলিশ আমার শ্যালক অপহরণের সহিত জড়িত সন্ধেহে আসামী হিসাবে ফজলে হামীম সাইমন কে গ্রেফতার করে, পুলিশ আমাকে সংবাদ দিলে আমি আশুলিয়া থানায় যাই। আমার সম্মূখে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আসামী সাইমন স্বীকার করে যে, সে তার পিতা মোঃ সোহরাব হোসেন এর নির্দেশে আসামী সজিব এর মাধ্যমে আঃ সাত্তার আহরারকে নিয়ে ঘুমের ঔষধ চায়ের সাথে মিশিয়ে খাওয়াইয়া অজ্ঞান করিয়া মরা গাংঙ এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে আসামী সাইমন, সজীব, মালেক এই তিন জন মিলে আমার শ্যালকে জবাই করে হত্যা করে লাশ মরা গাংঙ এর কচুরী পানার নীচে লুকিয়ে রাখে।

অত্র মামলার আসামী সোহরাব হোসেন আমার শ্বশুরের চাচাত ভাই। সোহরাব ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার নির্বাচনের সময় আসামী সজিব সোহরাবের পক্ষে কাজ করে সেই সুবাদে সজীব এর সাথে আসামী সোহরাব ও তার ছেলে সাইমন এর সম্পর্ক ভালো ছিল। আমার শ্যালকের সাথেও সজীবের সম্পর্ক ভালো ছিল। আসামী ফজলে হামীম সাইমনের তথ্য মতে পুলিশ বিগত ০৮/০১/২০১৭ ইং তারিখ আসামী সজীবকে গ্রেফতার করে । সজীব গ্রেফতারের বিষয় জানতে পেরে আমি থানায় যাই। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আমার সম্মূখে স্বীকার করে যে, আসামী সোহরাব হোসেন মেম্বার প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করে। ঐ নির্বাচন উপলক্ষে সজীব সোবরাব মেম্বারের পক্ষে কাজ করে। সেই সুবাদে সোহরাব মেম্বার ও তার ছেলে সাইমনের সাথে ভাল সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পূর্ব শত্রুতার জের হিসাবে আসামী সোহরাব আমার শ্যালক আব্দুস সাত্তার আহরারকে অপহরণ করিয়া হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য সাইমনের মাধ্যমে সজীবকে ডাকিয়া হত্যা করানোর বিনিময়ে ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। এরপর সাইমন ও সজীব  তাদের পরিচিত আসামী মালেকের সাথে আমার শ্যালককে হত্যার বিষয়ে পরিকল্পনা করে। ঘটনার দুই দিন পূর্বে আসামী মালেক এক পাতা ঘুমের ঔষধ ক্রয় করিয়া সজীবকে দেয় এবং ঐ ঘুমের ঔষধ খাওয়াইয়া সাত্তারকে অজ্ঞান করিয়া হত্যার পরিকল্পনা করে। তাদের এই পরিকল্পনা মতে ২৯/০৮/২০১৬ ইং তারিখ মাগরিবের নামাজের পর সন্ধ্যা অনুমান ৭.৩০ ঘটিকা সময় সজীব, সাত্তারকে জনৈক রবিউলের চায়ের দোকানে দুই কাপ চা তৈরী করে। এককাপ চায়ের ভিতরে ৪টি ঘুমের ট্যাবলেট মিশাইয়া সাত্তারকে খাওয়ায়। এরপর সাত্তারকে নিয়ে সজীব মরাগাঙ এলাকার দিকে যাইতে থাকে। পিছনে পিছনে আসামী সাইমন ও মালেক যায়। মরাগাঙ এলাকায় গিয়ে আব্দুস ছাত্তার ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। তখন সাইমন ও মালেক সাত্তারকে পানির মধ্যে নিয়ে চুবাতে চুবাতে চরের দিকে নিয়ে যায়। তারপর মালেক সাত্তারের দুই হাত ধরিয়া রাখে, সাইমন সজীবের নিকট থাকা ছুরি দিয়া আব্দুস সাত্তারের গলা কাটিয় হত্যা নিশ্চিত করে। এরপর তিনজন মিলে ছাত্তারের লাশ কচুরি পানার নিচে ঢাকিয়া রেখে ছুরি ও মোবাইল সেট পানিতে ফেলিয়া উক্ত স্থান হইতে চলিয়া আসে,পরে জানতে পারি আসামী সজীব ও মালেক বিজ্ঞ আদালতে দোষ স্বীকারোক্তীমূলক জবানবন্দী প্রদান করে। আসামীদের স্বীকারোক্তীতে দেওয়া তথ্য ও স্থান হতে আমার শ্যালকের দাঁতসহ মাথার খুলির অংশ উদ্ধার করেন। উহা ময়না তদন্ত করে। অতঃপর উক্ত মাথার খুলি এবং হাড় ‘ডিএনএ’ পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করা হয়। সেখানে ভিকটিমের মা ও সহোদর ভাইয়ের সাথে ৯৯.৯৯% মিল পাওয়া যায়।

প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা,

আমরা যেন মামলা তুলে নেই, সে জন্য্ খুনিরা বহুদিন ধরে আমাদের পরিবারকে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিলো।  যা বিভিন্ন সময় মিডিয়াতে প্রকাশিত হয়। শুধু তাই নয়, খুনীদের আত্মীয় এমপি ইলিয়াস মুল্লা এই হত্যা মামলা আড়াল করতে প্রশাসনের উচ্চ পর্যায় থেকে বিভিন্ন রকম তদবির করে আসছিলে।  এতেও কাজ না হওয়ায় এই নৃশংস হত্যাকান্ডের খুনীদের আড়াল করতে, মামলাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে এবং এনটিভি’র প্রতিবেদনের কারণে মামলার স্বাক্ষীরা যেন ভয়ে স্বাক্ষী দিতে না আসে সেজন্যই খুনীদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এনটিভিতে আমার নামে মিথ্যা জালিয়াতিপূর্ণ প্রতিবেদন প্রচার করেছে।

প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা,

খুনী সোহরাব, সায়মনগংদের বিরুদ্ধে আমরা কোন মামলা করিনি।  আমরা শিশু আহরারকে প্রথমে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না মর্মে আশুলিয়া থানায় জিডি করেছি। পরবর্তিতে যে ছেলে শিশু আহরারকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল এবং এলাকা ছেড়ে পরিবারসহ পালিয়ে গিয়েছিল তার নামে আমরা অপহরণ মামলা করি। মামলার এজাহারে সোহরাবগংদের কোন নাম ছিলনা।  বরং তদন্ত কর্মকর্তার তদন্তে তাদের নাম প্রমাণিত হওয়ায় এবং মৃতের হাড়ের ডিএনএ টেস্টে আহরারের হত্যা নিশ্চিত হওয়ায় তদন্ত কর্মকর্তা চার্জশীটে “তদন্তে প্রকাশিত আসামী” হিসেবে সোহরাব, সায়মনগংদের নাম আদালতে দাখিল করে এবং তারা খুনী হিসেবে চিহ্নিত হয়।

অথচ উক্ত প্রতিবেদনে দাবী করা হয়, আমি নাকি ১০টি মিথ্যা মামলার বাদী।  আমি সফিক শাহীনসহ খুনীদের চ্যালেঞ্জ করছি যে, তাদের দাবি অনুযায়ী আমি যদি কথিত ১০টি মিথ্যা মামলা করে থাকি তাহলে তারা পারলে মামলা নাম্বারসহ প্রমাণ দেখাক।

তা কিন্তু তারা তাদের প্রতিবেদনে দেখাতে পারেনি।  বরং উল্টো প্রতারক সফিক শাহীন তার প্রতিবেদনে দূর থেকে অগোচরে ভিডিও করার মাধ্যমে দেখায়, আমি অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের ২য় তলার বারান্দায় দাড়িয়ে আছি।  সেই ভিডিও দিয়ে সে প্রচার করে যে, আমি দেশব্যাপী মিথ্যা মামলা দেয়ার জন্য আদালত পাড়ায় ঘুরে বেড়াই। অথচ আমি উক্ত মামলার স্বাক্ষীদের নিয়ে আদালতে গিয়েছিলাম।

এটা কি সাংবাদিকতা নাকি প্রতারণা!

পাশাপাশি আমার শ্যালক আহমদুল্লাহ মাসুম ভিকটিমের আপন বড় ভাই এবং অত্র মামলার একজন স্বাক্ষী।  তার সাক্ষাতকার নেয় এনটিভির কথিত প্রতিবেদক। সেই সাক্ষাৎকারে আহমদুল্লাহ মাসুম তার ভাইয়ের হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত বর্ণনা দেয়।  কিন্তু সেই এনটিভির প্রতিবেদনে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক অংশটুকু কেটে কথিত প্রতিবেদনে প্রকাশ করে। এর মাধ্যমে আরো স্পষ্ট হয় যে, কথিত সাংবাদিক সফিক শাহীন ইচ্ছাকৃতভাবে খুনীদের বাচানোর চেষ্টা করছে।

কাজেই প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা,

আপনাদেরকে স্বাক্ষী রেখে সরকার প্রশাসনের নিকট আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে ৫টি দাবী উত্থাপন করছি-

১) শিশু হত্যাকারীদের বাচাতে সফিক শাহীন প্রতারণাপূর্ণ সংবাদ প্রচার করে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে।  মানবাধিকার লঙ্ঘন করায় তাকে আইন আনুসারে বিচার করা।

২) খুনীদের পক্ষ নিয়ে বাদী ও সাক্ষীদের ভীতি প্রদর্শণ করতে সাংবাদিকতার মত দায়িত্বপূর্ণ পেশাকে প্রশ্নবিদ্ধ করায় প্রতারক সফিক শাহীনকে সাংবাদিক মহল থেকে বয়কট করা।

৩) এই চাঞ্চল্যকর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের খুনীদের আইনানুগ শাস্তি নিশ্চিত করা।

৪) খুনিদের প্রাণনাশের হুমকি ধামকি থেকে রক্ষা পেতে নির্মম হত্যাকান্ডের শিকার শিশু আব্দুস সাত্তার আহরারের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

৫) মিডিয়াকে ব্যবহার করে একটি শিশু হত্যা মামলার খুনীদের আড়াল করতে এবং মামলার বাদী ও সাক্ষীদের ভীতি প্রদর্শন করতে যারা এনটিভিকে ব্যবহার করেছে সেই প্রতারক চক্রকে অবিলম্বে গ্রেফতার করা।

সবশেষে আমি প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়ের প্রতি আহবান করবো-

মানবতার খাতিরে আপনারা নিহত শিশু আব্দুস সাত্তার আহরারের অসহায় পরিবারের পক্ষে এগিয়ে আসুন এবং হত্যাকারীদের সঠিক বিচার নিশ্চিতে প্রকৃত খুনীদের মিডিয়ায় চিহ্নিত করুন। পাশাপাশি খুনীদের সহযোগী এবং পক্ষ অবলম্বনকারীদের হলুদ সাংবাদিক সফিক শাহীনগংদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এবং উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন চাঞ্চল্যকর নৃশংস হত্যাকান্ডের শিকার আহরারের ভগ্নিপতি মুহম্মদ মফিজুল ইসলাম।  আরো বক্তব্য রাখেন, নৃশংস হত্যাকান্ডের শিকার আহরারের ভাইগণ ১) মুহম্মদ আহমদুল্লাহ মাসুম ২) মুহম্মদ হামিদুল্লাহ মাসুদ, ৩) মুহম্মদ হাফিযুল্লাহ আবরার, ৪) মুহম্মদ আব্দুল গফফার আসরার, ৫) মুহম্মদ আনোয়ার, ৬) মুহম্মদ মনোয়ার এবং এ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী।

Facebook Comments Box