৮ মাসে ৯৮ হাজার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক: গত আট মাসে ৯৮ হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। সরকারি মালিকানাধীন ছয়টি গ্যাস কোম্পানির মধ্যে চারটি কোম্পানি চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত এসব অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে। একই সময় ৩০৭ কিলোমিটার অবৈধ গ্যাসলাইন বিচ্ছিন্ন করা হয়। গ্যাসলাইনের পুরোটাই ছিলো আবাসিক খাতের।
বিচ্ছিন্ন করা সংযোগেরও প্রায় সিংহভাগই আবাসিক খাতের। আবাসিকের ৯৭ হাজার ৮৩টি চুলা এ সময় বিচ্ছিন্ন করা হয়। বাকিগুলোর মধ্যে বাণিজ্যিক খাতের ২০২টি, শিল্প খাতের ৮৭টি, সিএনজি ২২টি ও ক্যাপটিভ সংযোগ ৪১টি। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।
সূত্র জানায়, ২০২০ সালের মধ্যে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ২৩ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত হবে। এ সময়ের মধ্যে ৯৬ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে বিদ্যুৎ দেয়া হবে। আর এজন্যই গ্যাসের সিস্টেম লস কমানোর দিকে জোর দেয়া হচ্ছে। সম্প্রতি বিদ্যুৎ জ¦ালানি ও খনিজ সম্পাদ মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির এক বৈঠকে গ্যাসের সিস্টেম লসের পরিমাণ সহনীয় মাত্রায় কমিয়ে আনার পাশাপাশি সিস্টেম লসের স্ট্যান্ডার্ড নির্ধারণ করে দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। বৈঠকে পেট্রোবাংলার গ্যাস বিপণন কোম্পানিসমূহের বিদ্যমান সিস্টেম লস হ্রাসে গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে আলোচনা হয় এবং সিস্টেম লস সামগ্রিকভাবে না দেখিয়ে আলাদা আলাদাভাবে দেখানোর জন্য মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
ওই বৈঠকে অগভীর ও গভীর সমুদ্রসহ দেশে তেল, গ্যাস, কয়লা ও অন্যান্য খনিজ সম্পদের অনুসন্ধান কার্যক্রমের অগ্রগতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয় এবং এসব সম্পদ সম্পর্কে যথাযথ সমীক্ষা পরিচালনার মাধ্যমে যাতে এগুলো জনকল্যাণে কাজে লাগানো যায় সেজন্য মন্ত্রণালয়কে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।















