জুমুআ (শুক্রবার), ২৯ মার্চ ২০২৪

মিয়ানমারের পৃষ্ঠপোষকতায় বেপরোয়া সন্ত্রাসীরা

মিয়ানমারের পৃষ্ঠপোষকতায় বেপরোয়া রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা

নিউজ ডেস্ক : মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পৃষ্ঠপোষকতায় কক্সবাজারের ক্যাম্পকে ঘিরে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো। স্থানীয়দের অভিযোগ, উখিয়া-টেকনাফের ৩৪টি ক্যাম্প ঘিরে সক্রিয় রয়েছে ১৫টির বেশি বাহিনী। যারা ইয়াবা ব্যবসা, অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায়, হত্যা এবং প্রত্যাবাসন বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত। তবে পুলিশ বলছে, এসব সন্ত্রাসী গ্রুপ নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

মিয়ানমার থেকে ১৯৯২ সালে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে হাকিম। টেকনাফে সবার কাছে পরিচিত হাকিম ডাকাত নামে। পাহাড়ে কয়েক ভাইসহ গড়ে তোলে এ হাকিম বাহিনী। তার বিরুদ্ধে নানা অপরাধে মামলা রয়েছে ৫০টির বেশি।

শুধু হাকিম বাহিনীই নয়; উখিয়া-টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্প এবং পার্শ্ববর্তী পাহাড় ঘিরে রয়েছে অন্তত ১৫টি গ্রুপ। প্রতিটি গ্রুপে সদস্য রয়েছে ১০ থেকে ১৫ জন। খুন, অপহরণ, চাঁদাবাজি, ডাকাতিসহ এমন কোনো অপরাধ নেই যা করে না এসব বাহিনী। এদের নেপথ্যে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর পৃষ্ঠপোষকতা রয়েছে বলে মনে করেন এ বিশেষজ্ঞ।

বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে খুব সিরিয়াসলি কাজ করতে হবে। অন্যথায় এ প্রত্যাবাসন বিরোধিতার সুযোগ নিয়ে তারা আমাদের এ দেশটার সর্বনাশ করতে পারে।’

স্থানীয় ও সচেতন মহলের দাবি, ধারাবাহিক অপরাধের জন্য আলোচিত এসব বাহিনী নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে ঝুঁকি বাড়বে বাংলাদেশের জন্য। তাই দ্রুত এদের দমনে প্রশাসনকে কঠোর হওয়ার আহ্বান তাদের।

স্থানীয়রা বলেন, তারা সংঘবদ্ধ হয়ে ক্যাম্পে সশস্ত্র অবস্থান করছে, যার কারণে স্থানীয় লোকজন খুব উদ্বিগ্ন অবস্থায় আছে। এসব ক্যাম্পে কয়েকটা ডাকাত চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে, তাদের মধ্যে রোহিঙ্গা ডাকাত যারা আছে তারা অনেক বেশি ভয়ঙ্কর।

পুলিশও স্বীকার করছে রোহিঙ্গাদের এসব বাহিনীর অস্তিত্বের কথা। ইতোমধ্যে কয়েকটিকে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে দাবি করে বাকিগুলোর বিরুদ্ধেও অভিযান চলছে বরে জানান কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসাইন।

তিনি বলেন, ‘বেশি কয়েকটি গ্যাংয়ের তথ্য পেয়েছি। বাকি গ্যাংয়ের তথ্যও অল্পদিনের মধ্যে আমাদের কব্জায় চলে আসবে। আশা করি, তারা এ জাতীয় অপকর্ম চালিয়ে যেতে পারবে না। আমরা পরিস্থিতি শান্ত রাখতে পারব।’

গত দুই বছরে কক্সবাজারের ৩৪টি ক্যাম্পে হত্যাকাণ্ড হয়েছে ৪৫টির মতো। এ ছাড়া বিভিন্ন অপরাধে মামলা হয়েছে ৪৭১টি।

Facebook Comments Box