“ভারত ফিরে যাও, কাশ্মীর আমাদের”
গত ৫ আগস্ট কাশ্মীর জনগণের স্বাধীনতা কেড়ে নেয় হিন্দুত্ববাদী ভারত সরকার। এরপর সেখানকার মানুষ রাস্তায় বিক্ষোভ করতে নেমে আসে। নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর পাথর ছোঁড়ে, যারা তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করছিল। চলছে ১৪৪ ধারা, কাশ্মীরের হাজার হাজার মানুষ রীতিমত বন্দী।
পুরো কাশ্মীর জনগণের কণ্ঠে স্লোগান ‘বিশ্বাসঘাতকতা ও অবিশ্বাস’। অর্থাৎ হিন্দুত্ববাদী ভারত সরকার বিশ্বাসঘাতকতা তাদের সাথে করেছে।
স্তব্ধ উপত্যকাজুড়ে শুধু একটা কথাই যেন প্রতিধ্বনিত হচ্ছে- ভারত কাশ্মীরিদের নয়, এর জমিটুকুই চায়। আরও সহজে বললে, কাশ্মীরের মানুষ নয়, মাটি চায় ভারত।
এই কঠিন পরিস্থিতিতে কাশ্মীরের সাধারণ জনগণ হিন্দত্ববাদী ভারত সরকারের দেয়া ১৪৪ ধারা ভেঙে মিছিল করেছে। এসময় বিক্ষোভ গুলি চালিয়েছে পুলিশ। এতে হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এছাড়া কাশ্মিরজুড়ে চলছে গণগ্রেপ্তার। সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রীসহ দুদিনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৪ শতাধিক মানুষকে।
পুরো কাশ্মীর বাসি যেন আগ্নেয়গিরির মত ফুঁসে উঠেছে।
অসিম আব্বাস নামে এক ব্যক্তি বলেন “আমাদের স্বায়ত্তশাসন কেড়ে নেয়ার পরিণতি হবে বিপজ্জনক”। “এটা আমাদের পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি দখলদারিত্বকেই মনে করিয়ে দেয়”।
শ্রীনগরে একটি ঔষধের দোকানের মালিক বলছিলেন “পুরো উপত্যকা এখন একটি কারাগারের মতো”, “বাধা নিষেধ উঠে গেলেই মানুষ রাস্তায় নামবে”
কাশ্মীরের অনেকেই বিশ্বাস করেন হিন্দু জাতীয়তাবাদী বিজেপি কাশ্মীরের বাইরের মানুষদের সেখানে জমি কেনার অধিকার দিয়ে সেখানকার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জনসংখ্যার বৈশিষ্ট্যকেই পাল্টে দিতে চায়।
বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিবাদ বিক্ষোভের খবর পাওয়া যাচ্ছে। “ভারত ফিরে যাও, কাশ্মীর আমাদের” এমন শ্লোগান হয়েছে সেখানে।