সাবত (শনিবার), ২৭ এপ্রিল ২০২৪

ট্রেনের ইঞ্জিন নিয়ে শঙ্কা রেলওয়ের

রেলওয়েতে ১৪ হাজার পদ খালি

নিউজ ডেস্ক : রেলওয়ের ইঞ্জিন সংকট মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। মেয়াদোত্তীর্ণ ইঞ্জিন দিয়ে ট্রেন চালানোর কারণে বিকল হয়ে যাচ্ছে মাঝপথে। এমনও দিন গেছে, একদিনে তিনবার ইঞ্জিন বিকল হওয়ায় ঘটনা ঘটেছে। আসন্ন ঈদ যাত্রায় এ নিয়ে বড় শঙ্কায় রয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে লোকোমোটিভের সংখ্যা ১৫০টি। এর মধ্যে ১০৫টি কার্যকর। বিদ্যমান ট্রেনগুলো স্বাভাবিকভাবে পরিচালনায় ১১১টি ইঞ্জিনের প্রয়োজন। কিন্তু ট্রেন চালানো হচ্ছে ১০০টি ইঞ্জিন দিয়ে। ফলে রেলের স্বাভাবিক কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে।

চলতি বছরের মে থেকে জুলাই পর্যন্ত রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে আন্তঃনগর, মেইল, লোকাল ও গুডস ট্রেনের প্রায় ৪০টি ইঞ্জিন বিকল হওয়ার ঘটনা ঘটে। শুধু দুইমাসেই ৪০টি ইঞ্জিন বিকল হয়। এরমধ্যে আন্তঃনগর ট্রেনের ইঞ্জিন ছিল ১৪টি।

সর্বশেষ ২০ জুলাই সিলেটের উদ্দেশে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া আন্তঃনগর ট্রেন কালনী এক্সপ্রেস পরপর তিনবার বিকল হয়। এছাড়া ৩ জুলাই চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার পথে ছেড়ে যাওয়া সোনার বাংলা এক্সপ্রেস এর ইঞ্জিন সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারিতে বিকল হয়।এ কারণে ট্রেনগুলো গন্তব্যে পৌঁছাতে দেরি হয়েছে।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের যান্ত্রিক বিভাগ সূ্ত্রে জানা গেছে, রেলের ১৫০টির মধ্যে ৪৭টি ইঞ্জিন অর্থনৈতিক আয়ুষ্কালের মধ্যে রয়েছে (২০ বছর)। এছাড়া ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৩৪টি এবং ৩০ বছরের অধিক বয়সী ইঞ্জিন রয়েছে ৬৯টি। অর্থাৎ পূর্বাঞ্চলে মোট ইঞ্জিনের ১০৩টিই মেয়াদোত্তীর্ণ।

পূর্বাঞ্চলে সর্বশেষ ইঞ্জিন যুক্ত হয় ২০১১ সালে। ওই সময় দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ১১টি ইঞ্জিন আমদানি করা হয়। এরপর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও রেলের বহরে কোনো ইঞ্জিন যুক্ত হয়নি। এ অবস্থায় প্রায়ই নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে না পারায় ভোগান্তিতে পড়তে হয় যাত্রীদের। সেই শঙ্কা রয়ে গেছে এবারের ঈদ যাত্রায়ও।

রেলওয়ের অপারেশন বিভাগের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, চলতি বছরের মে মাস থেকে ইঞ্জিন বিকলের ঘটনা বেড়েছে। এই সময়ে প্রায় ৪০টি ইঞ্জিন বিকল হয়েছে। ইঞ্জিন বিকল হলে একই রুটের অন্যান্য ট্রেনের শিডিউলও বিপর্যয় হয়। ঈদ যাত্রায় ইঞ্জিন বিকল হলে যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়বে। নতুন ইঞ্জিন সরবরাহ ও পুরনো ইঞ্জিন মেরামত করা না গেলে দুর্ভোগ বাড়বে।

Facebook Comments Box