জুমুআ (শুক্রবার), ২৬ এপ্রিল ২০২৪

ভ্যাকসিন নিয়ে ভয়: নিবন্ধনে সাড়া কম

ভ্যাকসিন নিয়ে ভয়: নিবন্ধনে সাড়া কম

নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে মানুষের মনে এখনো ভয় কাটেনি। গত তিনদিনে মাত্র ১২ হাজার টিকাপ্রত্যাশী নিবন্ধন করেছেন।
টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে অনলাইনে করোনার টিকার নিবন্ধন কম হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।

শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে বিশ্ব ক্রান্তীয় অবহেলিত রোগ (এনটিডি) দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। শনিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত ১১ হাজার মানুষ টিকার জন্য অনলাইনে নিবন্ধন করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

সাড়া নেই গ্রহীতাদের
ইতোমধ্যে ৪২ হাজার স্বাস্থ্যকর্মীর প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে। ৩৬ জেলায় টিকা পৌঁছে গেছে। এমন প্রস্তুতির মধ্যে টিকা গ্রহীতাদের তেমন সাড়া নেই। গত ২৭ জানুয়ারি করোনার টিকা প্রাপ্তিতে তৈরিকৃত সুরক্ষা ওয়েবসাইটের নিবন্ধন কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মুক্ত হওয়ার তিনদিন পরও তেমন সাড়া মিলছে না। গতকাল শনিবার সকাল পর্যন্ত মাত্র এগারো হাজার আবেদন জমা পড়েছে। এতেই হতাশ জনস্বাস্থ্যবিদরা। তাদের ভাষ্য, টিকা গ্রহণ নিয়ে মানুষের মনে এখনো ভয় কাটেনি। এছাড়া বিশ্বের অন্যান্য দেশে করোনা ভ্যাকসিনের পাশ্বপ্রতিক্রিয়া দেখে মানুষের মনে টিকা গ্রহণ নিয়ে ব্যাপক ভীতি ও আতঙ্ক রয়েছে।

টেকনিক্যাল কারণ
ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রমের উদ্বোধনের পর পরই অ্যাপ ও ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিবন্ধনের কথা বলা হয়েছিল। তবে এখনো চালু হয়নি ‘সুরক্ষা অ্যাপ’। নিবন্ধনের জন্য শুধু ওয়েবসাইটের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে টিকাপ্রত্যাশীদের। এ অবস্থায় ওয়েবসাইটের জটিলতায় নিবন্ধন কম হচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ সিস্টেম অ্যানালিস্ট প্রকৌশলী সুখেন্দু শেখর রায় জানিয়েছে, ‘অ্যাপের বিষয়টি তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগ দেখাশোনা করে। এতে আরো সময় লাগবে। ওয়েবসাইটেও কিছু পরিবর্তন আনা হচ্ছে।’

গত ২৭ জানুয়ারি রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পরীক্ষামূলক টিকা প্রয়োগ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার ২৬ জনকে টিকা দেয়া হয়। পরদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে আরো ৫৪১ জনকে টিকা দেয়া হয়। উদ্বোধনের দিন বিকাল থেকে টিকার জন্য নিবন্ধন করতে ‘সুরক্ষা অ্যাপ’ ও সুরক্ষা ওয়েবসাইট উন্মুক্ত করে দেয়ার কথা বলা হয়েছিল। তবে ওয়েবসাইট খুলে দেয়া হলেও উন্মুক্ত হয়নি মোবাইল অ্যাপ।

Facebook Comments Box