জুমুআ (শুক্রবার), ১৯ এপ্রিল ২০২৪

নানামুখী সংকটে ভারত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চীন-নেপাল ও পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বন্দ্বে দক্ষিণ এশিয়ায় এখন নানামুখী সংকটে ভারত। বাংলাদেশের সঙ্গেও বেনাপোলে বন্ধ আমদানি-রফতানি কার্যক্রম। এ অবস্থায় নয়াদিল্লির সঙ্গে কূটনীতিতে ঢাকাকে আরও কৌশলী হওয়ার পরামর্শ আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের। আর ভারতীয় গবেষকরা বলছে, বাংলাদেশের ব্যাপারে ভারত আরও উদার না হলে, এ অঞ্চলে চীন তার আধিপত্য আরও জোরালো করবে।

লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় গেলো ক’দিন ধরে মুখোমুখি অবস্থানে ভারত ও চীন। সীমান্তে দু’পক্ষই বাড়িয়েছে সেনা উপস্থিতি। সন্ত্রাসবাদ উস্কে দেয়া নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের বাকযুদ্ধও বর্তমানে চরমে।

নেপালের সঙ্গে চলছে ভারতের সীমান্ত বিরোধ। তেমন মধুর নয়, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ ও মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্কও। এ অবস্থায় খোদ ভারতীয় বিশ্লেষকরা বলছে, দক্ষিণ এশিয়ায় এখন নানামুখী চাপে নয়াদিল্লি।

ভারত দ্য হিন্দু সিনিয়র সাংবাদিক কল্লোল ভট্টাচার্য বলেছে, ‘৬ বছরে মোদীর চায়না বিরোধী যে পলিসি ছিলো সেটা অসফল। আমরা চীনের সাথে সামরিক জটিলতা চাই না। বাংলাদেশ সম্পর্কেও অপমান জনক কথা বলা হয়েছে।’

বাংলাদেশি বিশ্লেষকরা বলছে, দক্ষিণ এশিয়ায় সামরিক শক্তি প্রদর্শন করে নয়, অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে থাকা দেশই নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় সক্ষম হবে। এক্ষেত্রে ঢাকাকে তার আমদানি-রফতানির দিক বিবেচনা করে করণীয় ঠিক করার আহ্বান বিশেষজ্ঞদের।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক শাহাব এনাম খান বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ঠিক পথে আছে। শ্রীলঙ্কা, ভুটান, মালদ্বীপ প্রত্যেকটা রাষ্ট্রেরই কিন্তু অর্থনৈতিক চাহিদাটা মূখ্য।’

Facebook Comments Box