সাবত (শনিবার), ২৭ এপ্রিল ২০২৪

নমুনা না দিয়েও করোনা পজিটিভ!

নমুনা না দিয়েও করোনা পজিটিভ!

নিউজ ডেস্ক : করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব আছে কি না সেটি পরীক্ষার জন্য নমুনা না দিয়েই কোভিড-১৯ ‘পজেটিভ’ হয়েছেন এক তরুণ। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে বি-বাড়িয়া জেলা সদরে।শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব আছে কি না সেটি পরীক্ষার জন্য নমুনা না দিয়েই কোভিড-১৯ ‘পজেটিভ’ হয়েছেন এক তরুণ। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে বি-বাড়িয়া জেলা সদরে।

তৌহিদুল ইসলাম নামের ওই তরুণ ছাত্র রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত। মঙ্গলবার জেলায় নতুন যে ২৯ জনের রিপোর্ট এসেছে- তার মধ্যে তৌহিদুল একজন। বিষয়টি তার জন্য অস্বস্তিকর হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তৌহিদুল জানান, করোনাভাইরাসের কোনো লক্ষণ বা উপসর্গ না থাকলেও পরীক্ষার জন্য নমুনা দিতে জেলা সদর হাসপাতাল থেকে দেওয়া নির্ধারত ফরম পূরণ করেন তিনি। গত ৩ জুন তার এক চাচার মাধ্যমে তিনিসহ আরও চারজন ফরম পূরণ করেন। পরদিন দুপুরে তাদেরকে নমুনা দেওয়ার জন্য হাসপাতালের নমুনা সংগ্রহ বুথে যেতে বলা হয়।

কিন্তু ওইদিন দুপুরে জরুরি কাজে আটকে যাওয়ায় তিনিসহ ওই চারজনের কেউই নমুনা দিতে পারেননি। মঙ্গলবার বিকেলে তার মুঠোফোনে কল করে একজন জানান জেলায় আসা কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগীর নামের সঙ্গে তার নামও রয়েছে। তাকে আইসোলেশনে থাকতে বলা হয়।

তিনি বলেন, আমার সঙ্গে ফরম পূরণ করা বাকি চারজনের কেউ ফোন পায়নি। শুধু আমাকেই ফোন করে বলা হয়েছে আমি কোভিড-১৯ পজিটিভ। খবরটি শুনে মাথায় মাথা খারাপ হওয়া মতো অবস্থা।

”আমি তো নমুনাই দেইনি, তাহলে পজিটিভ হলাম কীভাবে? এজন্য আমাকে বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুক্ষিণ হতে হচ্ছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শওকত হোসেন বলেন, কী কারণে এমনটি হয়েছে সেটি আমরা খতিয়ে দেখছি। যারা নমুনা সংগ্রহের দায়িত্বে আছেন- তাদেরকে ডেকে এনে কারণ শনাক্তের করার জন্য বলা হেয়েছে।

বি-বাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ বলেন, বিষয়টি আমরা যাচাই-বাছাই করছি। যাচাই-বাছাইয়ের আগে এ বিষয়ে কিছু বলা যাবে না।

Facebook Comments Box