দুদক চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: দুনীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যানের পদ একটি সাংবিধানিক পদ। দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ তার বর্তমান পদের শপথ ভঙ্গ করে সাবেক সচিবদের সভা আহ্বান করে তার সাংবিধানিক দায়িত্বের বরখেলাপ করেছেন বলে মন্তব্য করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট।
সাবেক সচিবদের সংগঠন গড়ে তোলার যে উদ্যোগ তিনি নিয়েছেন তা তার পদের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। তার এই অনৈতিক ও অসাংবিধানিক কাজের জন্য অবিলম্বে দুদকের চেয়ারম্যান পদ থেকে তার পদত্যাগ দাবি করেছে তারা। বুধবার বাম গণতান্ত্রিক জোট এক সভায় এ দাবি করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার বিকালে শিল্পকলা একাডেমির এক সভাকক্ষে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদসহ ৪২ জন সাবেক সচিব এক বৈঠক করেন। সভায় উপস্থিত হওয়ার জন্য সাবেক সচিবদের চিঠি দেন দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। এই সম্মিলিত প্রয়াসের উপায় ও ধরন কী হওয়া উচিত বা সাবেক সচিবদের সমন্বয়ে কোনো একটি প্ল্যাটফর্ম করা যায় কিনা, তা আলোচনার জন্য তিনি এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন। বৈঠকে ৭৩, ৭৭, ৭৯, ৮১, ৮২ ও ৮২ (বিশেষ), ৮৪ ব্যাচের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এই বৈঠকে একটি ফোরাম বা সংগঠন করার বিষয়ে একমত হয়েছেন সরকারের অবসরপ্রাপ্ত শীর্ষ কর্মকর্তারা। দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নীতি প্রণয়ন, বাস্তবায়ন ও তার ফলাফলকে ত্বরান্বিত করতে তাদের জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও প্রজ্ঞাকে কাজে লাগাতে চান তারা। এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করে সাবেক সচিব শৈলেন্দ্রনাথ। বৈঠকে সাবেক সচিব নজরুল ইসলামকে আহ্বায়ক ও হেদায়েতুল্লাহ আল মামুনকে সদস্য সচিব করে একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।
এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানের গঠনতন্ত্রের খসড়া প্রণয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদকে প্রধান করে ওই সংগঠনে গঠনতন্ত্র তৈরির জন্য আরেকটি কমিটি করা হয়।
















