আহাদ (রবিবার), ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫

চেম্বার-ডায়াগনসিস বন্ধ, সাধারণ রোগীদের দুর্ভোগ চরমে

চেম্বার-ডায়াগনসিস বন্ধ, সাধারণ রোগীদের দুর্ভোগ চরমে

নিজস্ব প্রতিবেদক: চেম্বারে বসছেন না অনেক চিকিৎসক এবং অনেক জায়গায় টেকনিশিয়ানরা কর্মস্থলে না থাকায় রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষাও বন্ধ আছে বলে প্রায় রোগীদের কাছ থেকে অভিযোগ আসছে।

অনেক রোগী কয়েক হাসপাতাল ঘুরেও চিকিৎসা না পেয়ে মারা গেছেন- এমন ঘটনা প্রায়ই আসছে গণমাধ্যমে। রোগী রেখে চিকিৎসকদের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনাও পাওয়া গেছে। এমন পরিস্থিতিতে দুর্ভোগ ও ভোগান্তির কথা তুলে ধরেছেন অনেক রোগী।।
কাঁধ ও ঘাড়ের ব্যথা নিয়ে গত বুধবার নরসিংদী থেকে ধানম-ির পপুলার হাসপাতালে চিকিৎসকের পরামর্শের জন্য আসেন ব্যবসায়ী রবিউল্লাহ। চিকিৎসক তাকে এমআরআই করার পরামর্শ দেন। কিন্তু সেখানকার ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি সেদিন বন্ধ ছিল। তাকে শান্তিনগর অথবা বাড্ডা শাখায় গিয়ে পরীক্ষাটি করতে বলা হয়। তিনি বলেন, তারা বলল যে স্টাফ নাই। এ কারণে এখানে পরীক্ষা হবে না। বাধ্য হয়ে শান্তিনগর গিয়ে এমআরআই করাই।

পেটে ব্যাথার কারণে যানবাহন চলাচল বন্ধের মধ্যে অনেক দূর থেকে বহু কষ্টে এই হাসপাতালে আসে সত্তরোর্ধ্ব আবদুল মজিদ মোল্লা। গত বুধবার তিনি চিকিৎসক দেখাতে পারলেও তার পরামর্শমতো কলোনস্কপি সংশ্লিষ্টদের অনুপস্থিতির কারণে করাতে পারেননি। এ বিষয়ে মজিদ বলেন, যারা (কলোনস্কপি) করবে তারা নাকি নাই। এজন্য এক মাস পর আবার আসতে বলছে। অনেক দূর থেকে আসছিলাম।

থাইরয়েড সমস্যার কারণে ল্যাবএইডের মিরপুর শাখায় এক চিকিৎসকের পরামর্শ নিতেন রাজধানীর মিরপুরের বাসিন্দা ফিওনা। ২৮ দিনের ওষুধ খাওয়া শেষে ওই চিকিৎসককে আবার দেখিয়ে রক্ত পরীক্ষা করার কথা ছিল। কিন্তু ১ এপ্রিলের জন্য ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে তিনি ২৫ মার্চ ল্যাবএইডে গিয়ে তা বন্ধ পান। পরে আরও দুদিন গিয়েও খোলা পাননি বলে জানান তিনি।
ফিওনা বলেন, ডাক্তার বলেছিল, ব্লাড টেস্ট করে মেডিসিনটা কমিয়ে দেবে। কিন্তু মিরপুর ল্যাবএইড বন্ধ। এখন ডাক্তার না দেখিয়ে আমি পরীক্ষাই করাবো কীভাবে, আর ওষুধ কতটুকু খেতে হবে সেটাই বা বুঝব কীভাবে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ প্রাইভেট ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মনিরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, হাসপাতাল-ক্লিনিক এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্মীদের অনেকেই হয়তো ভয়ে আসছে না। তাছাড়া যানবাহন বন্ধ থাকায় অনেকে অফিসে না গিয়ে থাকতে পারেন। ছুটিতে গ্রামে চলে যাওয়ার কারণেও কর্মী সঙ্কট দেখা দিয়েছে। কিন্তু চেম্বারে বসতে চিকিৎসকদের আহ্বান জানানো হয়েছে।

Facebook Comments Box