ইসনাইন (সোমবার), ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫

আবারও হু হু করে বাড়ছে তিস্তার পানি

নিউজ ডেস্ক : প্রবল বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি ফের হু হু করে বাড়ছে। এতে বন্যা পরিস্থিতির আবারও অবনতি হয়েছে। তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে লালমনিরহাটের ৫টি উপজেলার তিস্তা অববাহিকার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়ে নতুন করে প্রায় ২৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

বুধবার সন্ধ্যায় হাতীবান্ধা উপজেলার ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৪২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এই পয়েন্টে বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার। এর আগে একই পয়েন্টে তিস্তার পানি দুপুরে বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পাশাপাশি উজানের ঢলে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে।

এদিকে বুধবার দুপুরে লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের উত্তর কালমাটি গ্রামের তিস্তা নদী থেকে ভেসে আসা অজ্ঞাত (৪০) এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশের ওসি মাহফুজ আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ভারী বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে তিস্তায় দ্বিতীয় দফায় বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে ভারত থেকে পানি দ্রুত বেগে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। এর আগে গত ১১ জুলাই তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে ও ১৩ জুলাই সেটা সর্বোচ্চ ৯০ সেন্টিমিটার ওপরে ওঠে। ১৫ জুলাই পর্যন্ত সেখানে বিপৎসীমা বরাবর পানি প্রবাহিত হলেও ১৬ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে। সতর্ক অবস্থায় পরিস্থিতি মোকাবিলা করা হচ্ছে।

তিস্তা, ধরলা ও সানিয়াজানের পানি নেমে গিয়ে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও বুধবার দুপুর থেকে আবারও নতুন করে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে পরিবারগুলো স্থানীয় গাইডবান, স্কুল, মাদরাসা, কলেজ ও সড়কে আশ্রয় নিয়ে বসবাস করছেন। এতে দেখা দিয়েছে খাদ্য ও ত্রাণ সংকট। লালমনিরহাট জেলায় আবারও ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

Facebook Comments Box