১ ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে এসএসসি পরীক্ষা
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কঠোর অবস্থানের পরও বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হতে যাওয়া এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের ঘটনা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অভিভাবক, পরীক্ষার্থী ও শিক্ষাবিদরা। তাদের মন্তব্য, সারাদেশে একই প্রশ্নপত্র থাকা ইতিবাচক হলেও এতে প্রশ্নফাঁসের আশঙ্কা বেড়ে গেছে একধাপ।
গত বছর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি), জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি), এসএসসি, এইচএসসি, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা, বিভিন্ন চাকরির নিয়োগ পরীক্ষা, এমনকি পঞ্চম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্রও ফাঁস হয়। এ নিয়ে বছরজুড়েই সমালোচিত ছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দফতর। এ কারণে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় সেই আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় হয়ে ওঠেছে প্রশ্নফাঁসকারী চক্র। পরীক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ফেসবুকে প্রচারণা চালাচ্ছে তারা। পরীক্ষায় শতভাগ প্রশ্ন কমন পড়লেই পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে চুক্তি অনুযায়ী টাকা নেওয়া হবে বলে বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে ওইসব পোস্টে।
শুধু তাই নয়, প্রশ্নপত্র নিতে আগ্রহীদের উদ্দেশ করে ওইসব পোস্টে বলা হচ্ছে— প্রশ্নপত্র পেতে ফেসবুকে গোপন গ্রুপে কেবল পরীক্ষার্থীকেই যুক্ত করা হচ্ছে। আর গ্রুপে যুক্ত করার আগে আগ্রহীরা এলেই পরীক্ষার্থী কিনা তা যাচাই-বাছাই করে নিচ্ছে অ্যাডমিন। যাচাই করতে পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্রের ছবি তুলে অ্যাডমিনের ফেসবুক ইনবক্সে দিতে বলা হচ্ছে। এরপর অ্যাডমিন প্রবেশপত্র যাচাইয়ের পরই কেবল ওই প্রার্থীকে গ্রুপে যুক্ত করছেন। তারপর প্রশ্নপত্র দেওয়া নিয়ে দেনদরবার হচ্ছে।