জুমুআ (শুক্রবার), ০৪ অক্টোবর ২০২৪

সরকারি চাকরিতে আর কোটা থাকছে না: প্রধানমন্ত্রী

সরকারি চাকরির বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সরকারি চাকরিতে কোনো কোটা থাকবে না, শতভাগ মেধায় নিয়োগ দেয়া হবে।’
আজ বুধবার সকালে ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন গণভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত্ করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর উল্লিখিত আশ্বাস দেন বলে জানা গেছে। জানা গেছে, আজ বিকালে সংসদের সরকারি চাকরিতে কোটা না রাখার বিষয়টি ঘোষণা করবেন।
এদিকে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন তার ফেসবুক পাতায় লিখেছেন, ‘বিগত দিনে কোটা পদ্ধতি সংস্কার নিয়ে চলমান আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে আজ সকালে আমরা (সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ ছাত্রলীগ) মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাত করি। তিনি বলেন সরকারি চাকুরীতে কোন কোটা পদ্ধতি থাকবে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তকে ছাত্রসমাজ সাধুবাদ জানায়। অশেষ কৃতজ্ঞতা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।’
এর আগে গত সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি চাকরির বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখার জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছিলেন। একই দিন বিকালে আন্দোলনকারী সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ২০ সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, তরুণরা সরকারি নিয়োগে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি সংস্কারে আন্দোলন করছেন। এই তরুণরাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির অপরিহার্য অংশ। আমরা এই পরবর্তী প্রজন্মের জন্যই রাজনীতি করি। তাই শেখ হাসিনার সরকার কখনও তরুণদের যৌক্তিক দাবিকে উপেক্ষা করেনি। এদিকে আজ দুপুরে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী আজ বিকালে জাতীয় সংসদে কোটা বিষয়ে কথা বলবেন।
প্রসঙ্গত, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্প্রতি এক পরিপত্রে বলেছিল, সকল সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটার কোনো পদ যোগ্য প্রার্থীর অভাবে পূরণ করা সম্ভব না হলে সেই সকল পদ মেধা তালিকার শীর্ষে অবস্থানকারী প্রার্থীদের মধ্য হইতে পূরণ করিতে হইবে।
Facebook Comments Box