সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে পাটখাতের উন্নয়নে : পাটমন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক :বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেছেন, সোনালী আঁশ পাটের উৎপাদন ও বহুমুখী ব্যবহার উৎসাহিত এবং জনপ্রিয় করে চাষীদের সোনালী স্বপ্নপূরণে জোরদার পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। এজন্যে পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০ বাস্তবায়ন করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে পাটখাত সংশ্লিষ্ট স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে আয়োজিত সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সভায় শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. মিজানুর রহমান, বিজেএমসির চেয়ারম্যান শাহ মো. নাসিম, পাট অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. শাসছুল আলম, শিপার্স কাউন্সিল অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট রেজাউল করিম, বাংলাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশনর প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
পাটমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পাটশিল্পে প্রাণের সঞ্চার করেছে। পাট শিল্পের এ অগ্রযাত্রাকে ধরে রাখতে শেখ হাসিনার সরকার দেশের অভ্যন্তরে ১৯টি পণ্য যথা ধান, গম, চাল, ভুট্টা, চিনি এবং সার ইত্যাদি মোড়কীকরণের ক্ষেত্রে পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে। কাঁচা পাট ও পাটজাত পণ্যের উৎপাদন, রফতানি, দেশের অভ্যন্তরে পাটপণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি, পাটের ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ ও পরিবেশ রক্ষায় পণ্যের মোড়কীকরণে পাটের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, পণ্যে পাটজাত মোড়কের ব্যবহার নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিরোধী প্লাস্টিক পলিথিন ব্যবহার বন্ধে ব্যাপক জনসচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তবে, দেশের পাটখাতের উন্নয়নে সরকার ও বেসরকারি উদ্যোক্তাদের সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমান সরকারের গৃহীত নীতিমালা ও পরিকল্পনাকে কাজে লাগিয়ে পাট ও বস্ত্রখাতের রফতানি বাজার সম্প্রসারণ, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন, পরিবেশ রক্ষা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করার ক্ষেত্রে এ মন্ত্রণালয় সফল হবে।