শেখ হাসিনা ,বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুর আওয়ামীলীগের একাংশ
আর.এফ.এন নিউজ :
নেত্রকোণার পূর্বধলায় বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে উপজেলা আওয়ামী লীগের এক পক্ষের আয়োজিত মিছিল ধাওয়া দিয়ে পণ্ড করেছে আরেক পক্ষ। এরপর আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী এক নেতার কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে ছবি ভাঙচুর করে দেয় অপর পক্ষ।
শনিবার উপজেলা সদরে এই ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আজ সকাল থেকেই বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবসের আনুষ্ঠানিকতা ছিল দেশ জুড়ে। নানা আনুষ্ঠানিকতা ছিল পূর্বধলাতেও। আর সেখানেই আওয়ামী লীগের দুই পক্ষে ঘটে সহিংসতা।
এক পক্ষে ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ওয়ারেসাত হোসেন বেলালের অনুসারী হিসেবে পরিচিত উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক মাসুদ আলম টিপুর ও তার লোকজন। অপর পক্ষে ছিলেন পূর্বধলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুব লীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম সুজন ও দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা প্রকৌশলী পরিষদের ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিটির সহ-সভাপতি তুহিন খান এবং তাদের লোকজন।
সকালে উপজেলা সদরের মধ্য বাজার থেকে জাহিদুল ইসলাম সুজন ও তুহিন খানের সমর্থক নেতা-কর্মীরা মিছিল বের করে। মিছিলটি থানা রোডে গিয়ে সেখানে তুহিন খানের গণসংযোগের জন্যে কার্যালয় উদ্বোধনের কথা ছিল। কিন্তু মিছিল শুরুর কিছু সময়ের মধ্যে মাসুদ আলম টিপুর নেতৃত্বাধীনে থাকা নেতা-কর্মীরা লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া দেয়। এতে তুহিন খানের সমর্থনে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে হয়ে যায়।
পরে ধাওয়াকারীরা থানা রোডে উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা তুহিন খানের নির্বাচনী কার্যালয়টি ভাঙচুর করে। সেখানে বেশ কিছু চেয়ারের পাশাপাশি শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুর ছবি মাটিতে ফেলে দেয় তারা। পরে সেসব ছবি ভাঙচুর করা হয়।
উপজেলা যুব লীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘মাসুদ আলম টিপু ও তার লোকজন আচমকা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের মিছিলে ধাওয়া দেয়। এতে করে অন্তত ১০ জন কমবেশি আহত হন। পরে তারা তুহিন খানের নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে। তারা বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবিও মাটিতে ফেলে দেয়।’
মনোনয়ন প্রত্যাশী তুহিন খান বলেন, ‘যেভাবে অতর্কিত হামলা চালিয়েছে তাতে স্পষ্ট এটা একটি সন্ত্রাসী হামলা।’ তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ছবি নিয়ে মিছিল করা যাবে না, হামলা করবে, আবার তারা আওয়ামী লীগার দাবি করবে এটা একসাথে চলতে পারে না।’
যার নেতৃত্বে হামলার অভিযোগ, সেই মাসুদ আলম টিপু বলেন, ‘তুহিন খান বহিরাগত কিছু লোক নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ অফিসে ঢুকতে চাইছিলেন। দলীয় নেতা-কর্মীরা তাদের প্রতিরোধ করেছে। তুহিন খানের নির্বাচনী কার্যালয়ে কারা হামলা করেছে তা আমরা জানি না। আমাদের কেউ সেখানে হামলা করেনি।’
পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অভি রঞ্জন দেব জানান, খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।