বেশ আগে থেকেই সন্ত্রাসী প্রচারণা ও নতুন সদস্য গ্রহণের জন্য টুইটার প্লাটফর্ম ব্যবহার করছিল আইএস। এমনকি প্যারিস হামলার দায়ভারও টুইট বার্তার মাধ্যমে স্বীকার করেছিল উগ্রপন্থী এই দলটি। নিজ প্লাটফর্ম থেকে এ ধরনের অ্যাকাউন্ট সড়াতে তাই বেশ আগেই মাঠে নেমেছিল টুইটার।
প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়ার সময়ই তারা দেখছিলেন যে এ ধরনের প্রচুর সংখ্যক অ্যাকাউন্ট নিজ থেকেই সড়িয়ে নেওয়া হচ্ছে এবং প্রচারণার পরিমাণও অনেকটাই কমে আসছে। প্রতিষ্ঠানটি আরও জানিয়েছে, কোনটি সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহার করা অ্যাকাউন্ট তা খুঁজে বের করার জন্য কোনো ‘ম্যাজিক অ্যালগরিদম’ নেই।
সাম্প্রতিক এক বিবৃতিতে টুইটার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, “বিশ্বের অধিকাংশ মানুষের মতো, আমরাও উগ্রপন্থী দলগুলোর সংঘটিত নির্মমতার বিষযটি নিয়ে আতংকিত।” এ ছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্ররোচনায় টুইটার ব্যবহারের বিষয়টি নিন্দনীয়।
এরকম অ্যাকাউন্ট বন্ধের প্রক্রিয়া চলতে থাকবে এবং প্রতিষ্ঠানটি এ লক্ষ্যে এখনও আইন প্রয়োগকারী বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে কাজ করছে বলেও ওই বিবৃতিতে জানিয়েছে টুইটার।