রিমান্ড শেষে কারাগারে ডা. সাবরিনা
নিউজ ডেস্ক: করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা না করেই রিপোর্ট দেওয়াসহ বিভিন্ন জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেপ্তার জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলামের আদালত এই আদেশ দেন।
এর আগে দুই দিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে ডিবি পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী। অপরদিকে তার আইনজীবী জামিনের আবেদন করে। শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন খারিজ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিকে গত ১৭ জুলাই জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরীকে দ্বিতীয় দফায় দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এর আগে গত ১৩ জুলাই ঢাকা মহানগর হাকিম শাহিনুর রহমান তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
জেকেজির দুর্নীতির সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করে আসা ডা. সাবরিনাকে গত ১২ জুলাই দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনারের (ডিসি) কার্যালয়ে টানা আড়াই ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এছাড়া গ্রেপ্তার হওয়ার পর এই চিকিৎসককে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তিনি জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
এদিকে, গত ২৩ জুন জেকেজির গুলশান কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী ও ডা. সাবরিনার স্বামী আরিফুল চৌধুরীসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর পর গত ১৫ জুলাই জেকেজি হেলথকেয়ারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আরিফুল হক চৌধুরী ও তার সহযোগী সাঈদ চৌধুরীর ফের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গত ১৯ জুলাই তাদের দুজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। এর আগে মামলাটিতে গত ২৪ জুন এই দুই আসামিসহ বিপ্লব দাস ও মামুনুর রশীদের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ওই দিন এ চক্রের হুমায়ুন কবির এবং তার স্ত্রী তানজীনা পাটোয়ারী আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। গত ২৭ জুন চার আসামিকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়।