রাবি অধ্যাপক রেজাউলকে কুপিয়ে হত্যা
রাজশাহী নগরীতে বাড়ির কাছেই এই অধ্যাপককে মোটর সাইকেলে আসা দুই যুবক কুপিয়ে পালিয়ে যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের উদ্ধৃত করে জানিয়েছেন বোয়ালিয়া থানার ওসি শাহদাত হোসেন। অধ্যাপক রেজাউল লেখালেখিতে করতেন, যুক্ত ছিলেন বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গেও।
কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে, সে বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানাতে পারেনি পুলিশ। শহরের বোয়ালিয়া থানা এলাকার শালবাগানের সপুরা এলাকায় থাকতেন অধ্যাপক রেজাউল। শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বাড়ির কাছেই বটতলা মোড়ে আক্রান্ত হন তিনি।
ওসি শাহদাত বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে বাস ধরার জন্য অধ্যাপক রেজাউল করিম শালবাগান মোড়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। “বাড়ি থেকে মাত্র ৫০ গজ দূরে আসার পরই দুজন যুবক মোটরসাইকেলে এসে তাকে ঘাড়ে কোপ দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।”
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার দরগাবাড়ি এলাকায় এই শিক্ষকের পৈত্রিক বাড়ি। নগরীর শালবাগানের সপুরা এলাকায় থাকতেন তিনি। নিহতের ভাই সাজিদুল করিম বলেন, অধ্যাপক রেজাউল ‘কোমলগান্ধার’ নামে একটি সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক এবং ‘সুন্দরম’ নামে একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের উপদেষ্টা ছিলেন।
তার ভাইকে কেউ কখনও কোনো ধরনের হুমকি দিয়েছিল কি না, তা জানাতে পারেনি সাজিদুল করিম। ‘সুন্দরম’ এর সভাপতি হাসান জাবের বলেন, “স্যার খুব ভালো সেতার বাজাতেন। তিনি শালবাগানে একটি গানের স্কুল প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছিলেন।”
লাশ উদ্ধার ও ময়নাতদন্তের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ওসি শাহদাত। রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার সুশান্ত চন্দ্র রায় জানান, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কোনো জঙ্গি সংগঠনের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দুই বছর আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে খুন হন আরেক অধ্যাপক এ কে এম শফিউল ইসলাম। সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক শফিউলকে হত্যার পর জঙ্গিদের দায় স্বীকারের খবর এলেও পরে পুলিশের তদন্তে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার ধারণাটি নাকচ করা হয়।
পুলিশের দেওয়া সূত্রে বলা হয়, ব্যক্তিগত বিরোধের কারণে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন অধ্যাপক শফিউল। তারও বেশ আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও দুজন শিক্ষক অধ্যাপক এম ইউনুস এবং অধ্যাপক এস তাহের হত্যাকাণ্ডের শিকার হন।