খামিছ (বৃহস্পতিবার), ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪

যৌন হয়রানির ঘটনায় মামলা

আর.এফ.এন নিউজ :

 যৌন হয়রানির ঘটনায় মামলা

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ৭ মার্চের জনসভাকে ঘিরে কয়েকটি স্থানে নারীদের যৌন হয়রানির ঘটনায় একটি  মামলা করেছেন ভুক্তভোগী এক মেয়ের বাবা। বৃহস্পতিবার  রাতে  রমনা থানায় তিনি মামলাটি করেন।

রমনা মডেল থানার ডিউটি অফিসার বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে অনাদি রঞ্জন বৈরাগী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলাটি করেছেন। রমনা মডেল থানার মামলা নম্বর-২৪। তবে মামলাটি তদন্তে এখনো কাউকে দায়িত্ব দেয়া হয়নি বলে জানান তিনি।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ঘটনার দিন রাত নয়টায় কর্মস্থল থেকে বাসায় ফিরে তিনি জানতে পারেন তার মেয়ে (ভিকটিম) বেইলি রোড থেকে ফেরার সময় শান্তিনগর মোড়ে বাস না পেয়ে কাকরাইল মোড়ে হেঁটে যায়। সেখানেও সে বাস না পেয়ে অফিসার্স ক্লাবের আগের সিগন্যালে এসে ফার্মগেটগামী একটি বাসে ওঠে। বাসটি মগবাজার হয়ে বাংলামোটরের দিকে যাওয়ার সময় তীব্র যানজটে পড়ে। তখন তার মেয়ে বাস থেকে নেমে হেঁটে বাংলামোটরের দিকে যেতে লাগলে আনুমানিক আড়াইটা থেকে তিনটার মধ্যে ৮৯ নম্বর নিউ ইস্কাটন বাসার সামনের ফুটপাতে সাদা টি-শার্ট পরা আনুমানিক ২৫-৩০ বছর বয়সী অন্তত ১৫ জন ছেলে তাকে ঘিরে ধরে টিজিং করে। তাকে টানাহেঁচড়া করে পরিহিত স্কুল ড্রেসের জামার শোল্ডার ও দুটি বোতাম ছিঁড়ে ফেলে তারা। একজন ট্রাফিক পুলিশ তাকে উদ্ধার করে একটি বাসে তুলে দিলে সে বাসায় আসে।

মেয়েটির বাবা জানান, এ ব্যাপারে তার মেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্য ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেয়। সেই স্ট্যাটাসটি তোলপাড় সৃষ্টি করে।

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ সোহরাওয়ারর্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের স্মরণে বুধবার একই ময়দানে জনসভা করে আওয়ামী লীগ। আর এজন্য আশপাশের বিভিন্ন সড়কে যান চালাচল নিয়ন্ত্রিত ছিল। এ কারণে হেঁটে চলতে বাধ্য হয়েছে মানুষ। আর চলার পথে জনসভায় আসা নেতা-কর্মীদের হাতে বেশ কয়েকজন নারী হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

এসব ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও নড়েচড়ে বসেছে। পুলিশ জানিয়েছে, অপরাধীদের শনাক্তে তারা কাজ করছে। তাদেরকে ধরতে সক্ষম হবে বলেও আশা করছে বাহিনীটি।

বৃহস্পতিবার একটি অনুষ্ঠানে বাংলামোটরের ঘটনায় ভিডিও ফুটেজ পাওয়ার কথা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। বলেছেন, ফুটেজ দেখে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কে কোন দল করেন তা দেখা হবে না।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের দক্ষিণ বিভাগের উপকমিশনার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আমরা বিষয়টি খুবই গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। ফুটেজ দেখে দায়ীদের শনাক্ত করার চেষ্টা হচ্ছে। আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হব।’

তবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এই ঘটনার দায় দলের ওপর নিতে নারাজ। তিনি জানান, জনসভা এলাকায় কোনো ঘটনা ঘটেনি, যেসব অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে তা সবই বাইরে। এর দায় দল নেবে না। তবে সরকারের ওপর এর দায় বর্তায় বলে মনে করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।

Facebook Comments Box