আহাদ (রবিবার), ১৩ জুলাই ২০২৫

মেয়রের বাড়িতে হামলাকারীদেরকে গ্রেফতারের নির্দেশ

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে সমকালের সাংবাদিক আব্দুল হাকিম শিমুল হত্যার সময় পৌর মেয়র (সাময়িক ব‌হিষ্কৃত) হালিমুল হক মিরুর বাড়িতে হামলার ঘটনায় তার স্ত্রী লুৎফুলনেছা পিয়ারীর দায়ের করা মামলার পলাতক পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে শাহজাদপুরের আমলি আদালতের বিচারক ও সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুল হক দণ্ডবিধি আইনের ধারায় এ আদেশ দেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী রফিক সরকার ও শাহজাদপুর আমলি আদালতের জিআরও শাহজাহান আলী এ খবর নিশ্চিত করেন।

গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামিরা হলেন– শাহজাদপুরের ভারপ্রাপ্ত পৌর মেয়র নাসির উদ্দিন, পৌর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ভিপি আব্দুর রহিম, স্থানীয় সংসদ সদস্য হাসিবুর রহমান স্বপনের ব্যক্তিগত সহকারী যুবলীগ নেতা আশিকুল হক দিনার, রনি ও শাহ আলম।

আইনজীবী রফিক সরকার ও জিআরও শাহজাহান আলী জানান, মেয়র মিরুর বাড়িতে হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার পলাতক পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। একইসঙ্গে হামলার দিন আহত মামলার ২ সাক্ষী জহির ও শাহেব আলীর শরীরে স্পিন্টার আছে কিনা তা সিভিল সার্জনের মাধ্যমে পরীক্ষা করে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

২৩ জানুয়ারি সকালে সিরাজগঞ্জ বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক ফাহমিদা কাদেরের আদালতে মিরুর বাড়িতে হামলার মামলায় ১০ আসামি আত্মসমর্পণ করে। পরে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারি পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিক শিমুল পৌর মেয়র হালিমুল হক মিরুর শর্টগানের গুলিতে গুরুতর আহত হয়ে পরদিন মৃত্যুবরণ করেন। এ ঘটনায় নিহত শিমুলের স্ত্রী নুরুন্নাহার খাতুন বাদী হয়ে মেয়র মিরুকে প্রধান আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ মিরুসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। বর্তমানে মামলাটি সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এদিকে, সাংবাদিক শিমুল হত্যার আড়াই মাস পর মেয়র মিরুর স্ত্রী লুৎফুন নেছা পিয়ারী বাদী হয়ে মেয়রের বাড়িঘর ভাঙচুর ও গুলিবর্ষণের অভিযোগ এনে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে মামলাটি মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন উল্লেখ করে সকল আসামিদের অব্যাহতি দিয়ে পুলিশ আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। পরে চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে মিরুর স্ত্রী নারাজি দিয়ে মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তের আবেদন করলে আদালত তা গ্রহণ করে জুডিশিয়াল তদন্তের আদেশ দেন।

Facebook Comments Box