আরবিয়া (বুধবার), ১৩ নভেম্বর ২০২৪

মিয়ানমার থেকে ২০৩ বৌদ্ধ শরণার্থীর অনুপ্রবেশ

বান্দরবান প্রতিনিধি:বান্দরবানের রুমা উপজেলার পাংসা সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ২০৩ শরণার্থীর অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেছে।

তারা বর্তমানে উপজেলার রেমাক্রী পাংসা ইউনিয়নের ৭২ নম্বর পিলার চাইক্ষ্যং পাড়ায় অবস্থান করছে বলে জানা গেছে।

গেল শনিবার মিয়ানমারের চীন রাজ্য থেকে ১৬৩ জন বৌদ্ধ শরণার্থী চাইক্ষ্যং সীমান্তের শূন্যরেখায় অবস্থান নেয়ার পর বাংলাদেশে প্রবেশ করে। গতকাল বুধবার বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের আরও ৪০টি পরিবার অনুপ্রবেশ করে। এ নিয়ে অনুপ্রবেশের সংখ্যা দাঁড়াল ২০৩ জন।

স্থানীয়রা জানান, মিয়ানমার থেকে আসা বৌদ্ধ শরণার্থীরা চাইক্ষ্যং পাড়ার তিনটি জায়গায় ত্রিপল দিয়ে তাবু বানিয়ে বসবাস করছেন। আশপাশের এলাকার লোকজন তাদের খাদ্য দিয়ে সহায়তা করছেন।

বেশ কিছুদিন ধরে মিয়ানমারের চীন রাজ্যের প্লাতোয়া জেলার কান্তালিন, খামংওয়া, তরোয়াইন এলাকাতে দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিচ্ছিন্নতাবাদী আরাকান আর্মির ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে।

সেনাবাহিনীর আক্রমণের মুখে এসব শরণার্থীরা জীবন বাঁচাতে সীমান্ত অতিক্রম করে চাইক্ষ্যং পাড়ায় অবস্থান করছে।

এ বিষয়ে রুমা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামসুল আলম জানান, আমরা পাংসা ইউনিয়নের ৭২ নম্বর পিলারের কাছে শরণার্থী অনুপ্রবেশের বিষয়টি শুনেছি। এলাকাটি দুর্গম হওয়ায় এখনও বিস্তারিত কিছু জানতে পারিনি।

অপরদিকে সীমান্তে শরণার্থীদের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে সেনাবাহিনী ও বিজিবির সমন্বয়ে একটি পর্যবেক্ষণ টিম এলাকাটি পরিদর্শন করেছে। প্রশাসন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরকে সেখানে পাঠিয়েছে। এছাড়া নিরাপত্তা বাহিনীর বেশ কয়েকটি টহল দল সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করেছে। গতকাল বুধবার নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের হেলিকপ্টারে করে মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

বিজিবির কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহেদুর রহমান জানান, সীমান্ত এলাকায় শরণার্থীদের বর্তমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে সেখানে নিরাপত্তা বাহিনীর টিম পাঠানো হয়েছে। শরণার্থীদের মনোভাব জানার পর সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

জেলা প্রশাসক মো. দাউদুল ইসলাম জানান, সীমান্তের পার্শ্ববর্তী এলাকাতে শরণার্থী অবস্থান করছে। তবে বিজিবির পক্ষ থেকে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে রোহিঙ্গাদের ব্যাপক সংঘর্ষের পর সেখান থেকে প্রায় আট লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে।

Facebook Comments Box