খামিছ (বৃহস্পতিবার), ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪

মন্ত্রী নুরুল ইসলামের সঙ্গে প্রবাসীদের মতবিনিময়

জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেট প্রাঙ্গণে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বাংলাদেশ সরকারের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি প্রধান অতিথি ছিলেন। ২ জানুয়ারি শনিবার সন্ধ্যায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এর আয়োজন করে জেদ্দার বাংলাদেশ কনস্যুলেট। সভায় সভাপতিত্ব করেন সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ।

সভায় নুরুল ইসলাম বিএসসি বলেন, সৌদিপ্রবাসীদের রেমিট্যান্স প্রবাহ দেশের উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখছে। প্রবাসীদের সুবিধার জন্য সৌদি আরবে সোনালী ব্যাংকসহ একটি প্রাইভেট ব্যাংকের শাখা খোলার প্রচেষ্টা চলছে। তা ছাড়া প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। প্রবাসীরা এর শেয়ার কিনে বিনিয়োগ করতে পারবেন। তিনি প্রবাসীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান।
তি​নি জানান, সৌদি সরকারের সঙ্গে শ্রম-বিষয়ক দ্বিপক্ষীয় কিছু বিষয়ে ফলপ্রসূ মতৈক্য হয়েছে। এখন থেকে প্রতিটি নারী শ্রমিকের সঙ্গে তার নিকটতম একজন পুরুষ শ্রমিক আসার ব্যবস্থা থাকবে।
নুরুল ইসলাম বিএসসি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। প্রবাসীরাও এর অংশীদার। সভায় জেদ্দায় বাংলাদেশি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত দুটি স্কুলের ভবন নির্মাণে সহায়তারও আশ্বাস দেন তিনি।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ইফতেখার হায়দার চৌধুরী, বিএমইটির মহাপরিচালক শামসুন্নাহার বেগম, জেদ্দার কনসাল জেনারেল এ কে এম শহিদুল করীম। সভা পরিচালনা করেন কনসাল আলতাফ হোসেন। স্বাগত বক্তব্য দেন কাউন্সিলর শ্রম মো. মোকাম্মেল হোসেন।
সভায় এ কে এম শহিদুল করীম জানান, ২০১৫ সালে জেদ্দা কনস্যুলেটের মাধ্যমে এক লাখ ৮৯ হাজারটি সেবা প্রদান করা হয়েছে। কনস্যুলেট আয় করেছে ৩৫.৫ কোটি টাকা। সাধারণ ক্ষমায় প্রায় ৮ লাখ সৌদিপ্রবাসী বাংলাদেশি বৈধ হয়েছেন। তিনি ডিজিটাল পাসপোর্ট কার্যক্রমে সক্রিয় সহায়তার জন্য প্রবাসী নেতৃবৃন্দকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

মতবিনিময়ে অংশগ্রহণ করেন প্রবাসী কমিউনিটি নেতা অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হাসান, মুক্তিযোদ্ধা মমতাজ হোসেন চৌধুরী, কাজী আমিন আহমেদ, ইউসুফ মাহমুদ ফরাজী, আজিজুল হক, আবদুল জলিল ব্যাপারী, মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, মোহাম্মদ আরিফ, দেলোয়ার হোসেন সরকার, মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন, শেখ ফজলুল করিম, কাজী নেয়ামুল বশির ও খন্দকার আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
তারা মন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে প্রবাসীদের বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনার বিষয় তুলে ধরেন। প্রবাসে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মের পড়াশোনার জন্য স্কুল নির্মাণে সহায়তা, বিমানবন্দরে হয়রানি, প্রবাসীদের জন্য আবাসন সহায়তা, বিনিয়োগ সুবিধা, অবসর ভাতাসহ সৌদি আরবে ব্যাংকের শাখা খোলা ও কনস্যুলেটের স্থায়ী ভবন নির্মাণ প্রসঙ্গে বক্তব্য দেন।
সভায় জেদ্দা ও মক্কাপ্রবাসী বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Facebook Comments Box