মংলা বন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার হবে
অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান বলেছেন, মংলা বন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা হবে। মংলা বন্দরের সমস্যাবলীর স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে এই পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। কাজেই বর্তামান সমস্যা নিয়ে উদ্বিগ্ন না হয়ে ভবিষ্যতের সম্ভাবনায় উজ্জীবিত হতে হবে।
খুলনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সঙ্গে রাজস্ব বোর্ড এর ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এনবিআর চেয়াম্যান মো. নজিবুর রহমান এসব কথা বলেন। শনিবার বিকেলে খুলনা সিটি ইন হোটেলের সম্মেলন কক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে খুলনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকারের রূপকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০১৬-১৭ অর্থ বছরকে ব্যবসা বান্ধব ও জনবান্ধব করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যেই মূলত এ ধরণের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আসন্ন বাজেটে খুলনাবাসীর মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। রাজস্ব বোর্ড মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে সম্ভাবনাময় ও সক্রিয় বন্দর হিসেবে দেখতে চায়। দুটি বন্দরকেই একে অপরের পরিপূরক হিসেবে কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ নেদারল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে হবে। ২০৫০ সালে বাংলাদেশ নেদারল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার ওপরে অবস্থান করবে।
এসময় আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা প্যাকেজ পদ্ধতিতে ভ্যাট আদায়, কর নিরূপণে জটিলতা দূর করা, উৎসে কর শূণ্য ভাগে নামিয়ে আনা, চিংড়ি রফতানিতে ৫ % কর প্রত্যাহার, মংলা বন্দরের ডিউটি ফি ০ % করা এবং ব্যবসায়ীদের ওপর নূন্যতম ট্যাক্স নীতি (দেউলিয়া হলে) প্রত্যাহার করার দাবি জানান। তারা চিংড়ি খাতে বিদ্যুতের ব্যবহার বেশি হওয়ায় ভ্যাট প্রত্যাহার ও থোক বরাদ্দ, রডের ওপর আরোপিত ৪ % ভ্যাট প্রত্যাহার, ভোজ্য তেলের উপর শুধুমাত্র উৎপাদন পর্যায়ে মূসক নির্ধারণ করার দাবি জানান। করমুক্ত আয়সীমা বর্তমানের আড়াই লাখের পরিবর্তে সাড়ে ৩ লাখ টাকা নির্ধারণের পরামর্শ দেন। খুলনা তথা দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নের স্বার্থে মংলা বন্দরে বিরাজমান সব সমস্যার আশু সমাধান করে ব্যবসায়ীদের বন্দর ব্যবহারে উৎসাহ দেওয়ার লক্ষ্যে নানা ধরণের উদ্যোগ নেওয়ার জোর দাবি জানান।