ভুল প্রশ্নে এসএসসি পরীক্ষা : কেন্দ্রসচিব বরখাস্ত
ভুল প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিয়ে বিপাকে পড়েছে মাগুরার শালিখা উপজেলার গঙ্গারামপুর পিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের এসএসসি পরীক্ষার্থীরা।
এতে শঙ্কায় রয়েছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। এ ঘটনায় কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে কেন্দ্রসচিবকে বরখাস্ত করে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, গঙ্গারামপুর পিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের ৭২ জন নিয়মিত পরীক্ষার্থী এ বছর অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। সেখানে অনিয়মিত পরীক্ষার্থী না থাকলেও গত ১৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত পদার্থবিজ্ঞান পরীক্ষায় ২০১৪ সালের পুরাতন সিলেবাসের প্রশ্নপত্র তাদের সরবরাহ করা হয়। পরীক্ষার্থীরা সরবরাহকৃত প্রশ্নপত্রের উত্তরপত্র লিখে পরীক্ষা শেষ করে। বিদ্যালয়টির ক্ষতিগ্রস্ত পরীক্ষার্থী সুমাইয়া শমি, আনিসুর রহমান, পূজা রায়, মিশন সরকারসহ অন্যরা জানায়, পদার্থবিজ্ঞানের বহুনির্বাচনী অভিক্ষা প্রশ্নপত্রটি ৩৫ নম্বরের অবজেকটিভ।
যে কারণে পরীক্ষা দেওয়ার সময় তাদের কাছে প্রশ্নপত্রের কোথায়ও অস্বাভাবিকতা ধরা পড়েনি। প্রশ্নে ‘পুরাতন সিলেবাস অনুযায়ী’ কথাটি লেখা থাকলেও সবার কাছেই তা এড়িয়ে যায়। পরীক্ষা শেষে শিক্ষার্থীরা জানতে পারে যে, তারা ভুল প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিয়েছে।
গঙ্গারামপুর পিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এবং কেন্দ্রসচিব নির্ণয় কুমার বিশ্বাস জানান, বিদ্যালয়ের দায়িত্বরত শিক্ষক তোফায়েল আহমেদ থানা থেকে পদার্থবিজ্ঞান পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নিয়ে আসেন। যেখানে নতুন ও পুরাতন দুই সিলেবাসের প্রশ্নপত্র ছিল। পরীক্ষা শুরুর আগে দায়িত্বশীল অন্যদের সামনেই প্রশ্নপত্র খোলা হয়।
কিন্তু ভুলক্রমে তারা বহু নির্বাচনী অভিক্ষার প্রশ্নপত্র বের করার সময় ২০১৬ সালের নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নপত্রের বান্ডিলের পরিবর্তে ২০১৪ সালের অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নপত্রের বান্ডিল খুলে ফেলেন। তবে এটিকে অনিচ্ছাকৃত ভুল হিসেবে দাবি করে কেন্দ্রসচিব বলেন, ‘বিষয়টি জানার পর আমরা যশোর বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বরাবর আবেদন করেছি।’ এ বিষয়ে মাগুরা জেলা প্রশাসক মাহবুবর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কিছু জানেন না বলে জানান।
শালিখা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোমিন উদ্দিন জানিয়েছেন, এ ঘটনায় অভিযুক্ত কেন্দ্রসচিব নির্ণয় কুমার বিশ্বাসকে ওই কেন্দ্রের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়াও শালিখা উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা সালমা শিলাকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।