একটি গাড়ি দুর্ঘটনার আধঘন্টা পর ওই তরুণী ঘটনাচক্রে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে মারমুখী জনতার রোষ গিয়ে পড়ে তার ওপর। লোকজন ‘ভুল করে’ তাকে দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ভেবে এভাবে হেনস্থা করে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এনডিটিভি’র খবরে বলা হয়, ২১ বছর বয়সী কলেজ শিক্ষার্থী ওই তরুণী রোববার রাতে তার তিন বন্ধুর সঙ্গে গাড়িতে যাচ্ছিলেন। ওই তিনজনকেও মারধোর করেছে জনতা।
হেসারাঘাটা এলাকায় অন্তত ২০০ জনের একটি দল তাদের গাড়ি থামায় এবং ওই তরুণীকে টেনেহেঁচড়ে গাড়ি থেকে নামিয়ে আনে।
এর আধঘণ্টা আগেই হেসারাঘাটা এলাকায় একটি গাড়ি একজন নারীকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
ব্যাঙ্গালুরুতে ‘অল আফ্রিকান স্টুডেন্ট ইউনিয়ন এর পক্ষ থেকে অভিযোগ করে বলা হয়েছে, ভিড়ের মধ্যে থাকা লোকজন ওই তরুণীকে মারধরের পর নগ্ন করে এবং তাকে সামনে রেখে পেছনে মিছিলের মত চলতে থাকে। এক পর্যায়ে ওই তরুণী একটি বাসে উঠে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বাসের যাত্রীরাও তাকে ফেলে দেয়।
স্থানীয় একটি দৈনিক পত্রিকার খবরে বলা হয়, “এক পথচারী ওই তরুণীকে একটি টি-শার্ট পরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে তাকেও মারধর করা হয়।”
ব্যাঙ্গালুরুর ‘অল আফ্রিকান স্টুডেন্ট ইউনিয়ন’ এর আইনি উপদেষ্টা বস্কো কাউইসি বলেন, “সে (তরুণী) তানজানিয়ার নাগরিক। দুর্ঘটনার জন্য যে ব্যক্তি দায়ী সে সুদানের নাগরিক। তারা কেউই কাউকে চেনে না পর্যন্ত।
ঘটনার পরপরই ওই তরুণী থানায় গিয়ে মামলা করতে চাইলেও পুলিশ তার মামলা নথিভুক্ত করেনি।
স্থানীয় দৈনিকটির খবরে বলা হয়, পুলিশ ওই তরুণীকে প্রথমে দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিকে থানায় হাজির করতে বলে।
আইনি উপদেষ্টা বস্কো বলেন, “যেখানে ওই তরুণী দুর্ঘটনার বিষয়ে কিছুই জানে না এমনকি কোথায় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে তাও জানে না সেখানে সে কিভাবে দায়ী ব্যক্তিকে হাজির করবে।”
ভারতে অবস্থিত তাঞ্জানিয়ার দূতাবাস পরদিন ছাত্র নেতাদের কাছে প্রকৃত ঘটনা জানতে চেয়েছে এবং ন্যায় বিচারের জন্য ভারতকে কূটনৈতিক চাপ দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে।