খামিছ (বৃহস্পতিবার), ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪

ভাঙল ২০০ বছরের তাপমাত্রার রেকর্ড

ভাঙল ২০০ বছরের তাপমাত্রার রেকর্ড

নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে ২০০ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে এবারের তাপমাত্রা। রেকর্ড তাপে পুড়ছে পর্যটনের হটস্পট থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম। পুড়ছে মালয়েশিয়া, কম্বোডিয়া ও লাওসও। উচ্চ তাপমাত্রা বৃদ্ধি দিন দিন অসহনীয় পর্যায়ে চলে যাচ্ছে।ৎ

বুধবার সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এ অঞ্চলে গত ২০০ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে এবারের তাপমাত্রা। পুড়ে কয়লা হয়ে যাচ্ছে মানুষ, পশু-পাখির প্রাণ।

থাইল্যান্ডের ইতিহাসে ১৫ এপ্রিল ছিল সবচেয়ে উষ্ণতম দিন। তাপমাত্রা ছিল ৪৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রতিবেশী দেশ লাওস মে মাসে টানা দুদিন ৪৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে শীর্ষে ছিল।

অপরদিকে, ১ জুন ভিয়েতনামের ইতিহাসেও রেকর্ড ভেঙে তাপমাত্রা দাঁড়িয়েছিল ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা ভিয়েতনামের ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণতম জুন দিনের রেকর্ড ভেঙেছে।

বিজ্ঞানীদের একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন ওয়ার্ল্ড ওয়েদার অ্যাট্রিবিউশনের (ডব্লিউডব্লিউএ) সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে জানায়, এটি ২০০ বছরের তাপমাত্রার রেকর্ড ভেঙেছে। মানবসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের ফলেই এমন হচ্ছে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।

এপ্রিল ও মে মাস সাধারণত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার উষ্ণতম মাস। মৌসুমি বৃষ্টিপাতের আগে এই দুমাসের তাপমাত্রা কিছুটা স্বস্তি নিয়ে আসে। কিন্তু এবারের তাপমাত্রা বৃদ্ধি যেন স্বস্তি নয়, নিয়ে এসেছে ভয়াবহ বিপর্যয়।

সিএনএনের বিশ্লেষণে দেখা যায়, এপ্রিলের শুরু থেকে মে মাসের শেষ পর্যন্ত তাপমাত্রা প্রতিদিন ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি ছিল। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ছয়টি দেশেই এমনটি ঘটেছে।

আর তীব্র গরমে হিট স্ট্রোক করে মারা যান অনেক মানুষ। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন অনেকে। অনেক অঞ্চলে বাধ্য হয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। অধিক তাপমাত্রায় রাস্তার ক্ষয়ক্ষতিসহ আগুনও ছড়িয়ে পড়ে অনেক অঞ্চলে।

জাতিসংঘের হিউম্যান ক্লাইমেট বলছে, তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আর্দ্র তাপ তরঙ্গও বেশি বেশি ঘটতে থাকে। নির্গমন একই হারে বাড়তে থাকলে, পরবর্তী দুই দশকে তাপজনিত কারণে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

অধিক তাপমাত্রা হিট স্ট্রোকের অন্যতম কারণ। উচ্চ তাপমাত্রার প্রভাবে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, কিডনি সমস্যা ও গর্ভবতী ব্যক্তিদের জন্য জীবন আরও হুমকির হতে পারে। তাপ তরঙ্গের তীব্রতা শুধু স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে না, পরিবেশ ও জীবিকাকেও হুমকির মুখে ফেলে দেয়। তাই তাপের তীব্রতা কমাতে সরকারি পরিকল্পনার প্রয়োজনীয়তা অত্যাবশ্যক।

Facebook Comments Box