আরবিয়া (বুধবার), ২১ মে ২০২৫

বিপিএল ও আইপিএল জুয়ার বিরুদ্ধে ৬৪ জেলাপ্রশাসনকে লিগ্যাল নোটিশ

রমেক হাসপাতালের চেয়ারম্যানকে লিগ্যাল নোটিশ

নিউজ ডেস্ক:বিপিএল ও আইপিএল ক্রিকেট খেলা নিয়ে সারাদেশে জুয়ার আসর বন্ধ করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয় সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের আইজিপিসহ ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে আজ বৃহস্প্রতিবার রেজিষ্ট্রী ডাকযোগে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবি ব্যারিষ্টার এ.বি.এম. হামিদুল মিজবাহ।
নোটিশে বলা হয়, বিপিএল ও আইপিএল জুয়া নিয়ে প্রতিরাতে কোটি কোটি টাকার হাতবদল হয়ে চলেছে। আবার রাতারাতি নিঃস্ব হচ্ছে অসংখ্য মানুষ। খুন খারাবি থেকে শুরু করে হামলা সংঘর্ষ পর্যন্ত গড়াচ্ছে।
খেলা ঘিরে ছোট-বড় চায়ের দোকান, শহরের অলিগলি, ক্লাব, বার, এমনকি পাঁচ তারকা হোটেলে বসে চলছে বাজির আসর। বিপিএলের একেকটি ম্যাচে কোটি কোটি টাকার বাজি ধরা হচ্ছে। এই অবৈধ জুয়া চর্চার প্রথা আমাদের দেশের নাগরিকদের নৈতিক মূল্যবোধ ভয়াবহ ভাবে ধ্বংস করছে যেহেতু তারা শুধুমাত্র অর্থ হানির শিকার হচ্ছে তা নয় বরং একই সঙ্গে তারা শান্তিপূর্ণ পরিবারের মানসিক শান্তি খর্ব করছে, টেনশন বাড়িয়ে দিচ্ছে। জুয়া সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা প্রাণঘাতী সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ছেন। এছাড়াও প্রকাশিত বিভিন্ন সংবাদপত্র হতে জানা যায়, বিভিন্ন দেশ থেকে বিশেষ হিংস্র জুয়াড়ি চক্র আমাদের দেশে এসে জুয়ার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকা অবৈধভাবে দেশের বাইরে পাচার করছে।
নোটিশে আরো বলা হয়, আইনের চোখে খেলার নামে এমন জুয়া দণ্ডনীয় অপরাধ। ১৮৬৭ সালে প্রণীত জুয়া আইন অনুযায়ী, যে কোনো ঘর, স্থান বা তাঁবু জুয়ার আসর হিসেবে ব্যবহূত হলে তার মালিক বা রক্ষণাবেক্ষণকারী, জুয়ার ব্যস্থাপক বা এতে কোনো সাহায্যকারী তিন মাসের কারাদণ্ড বা অর্থদন্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারে। এ রকম কোনো ঘরে তাস, পাশা, কাউন্টার বা যে কোনো সরঞ্জামসহ কোনো ব্যক্তিকে খেলারত (জুয়ারত) বা উপস্থিত দেখতে পাওয়া গেলে সে এক মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারে। পুলিশ জুয়ার সামগ্রীর খোঁজে যে কোনো সময় (বল প্রয়োগ করে হলেও) তল্লাশি চালাতে পারবে বলেও আইনে উল্লেখ রয়েছে।
নোটিশে আরো বলা হয়, বিপিএল ও আইপিএল খেলা ঘিরে জুয়া বন্ধে প্রশাসনের তেমন কোনো নজরদারি নেই। মফস্বলে মাঝে মধ্যে দু-একটি অভিযান হলেও ঢাকায় জুয়া বন্ধে সচরাচর পুলিশের কোনো উদ্যোগ দেখা যায় না। গত বছর জুয়ার কয়েকটি অনলাইন ওয়েবসাইট বন্ধ করা হলেও এখনো সেগুলো প্রক্সি সার্ভারের মাধ্যমে চালু রয়েছে।
আগামী বিপিএল ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করেও পূর্বের মত জুয়ার পরিবেশ সৃষ্টি হতে পারে জানিয়ে জুয়া ও বিদেশে টাকা পাচারের সাথে জরিত সকলের বিরুদ্ধে প্রশাসনের প্রতি প্রয়োজনীয় সকল যথোপযুক্ত আইনানুগ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নোটিশদাতা অনুরোধ জানিয়েছেন। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে এসব বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া না হলে উচ্চ আদালতে রিট দায়ের করে আইনের আশ্রয় নেবেন বলে নোটিশে জানানো হয়েছে।

Facebook Comments Box