বিদ্যুৎ নেই ১০ দিন

সাতক্ষীরা সংবাদদাতা: বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় আছে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার অনেক এলাকা। তাই বাধ্য হয়ে মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক যন্ত্র চার্জ দিতে জেনারেটরের দোকানে ভিড় করছেন সাধারণ মানুষ। ইঞ্জিনভ্যানে করে জেনারেটর এক স্থান থেকে আরেক স্থানে নিয়ে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ পদ্ধতিতেও ফোনে চার্জ দেওয়ার কার্যক্রম চলছে। প্রতিটি বাটন মোবাইল ফোন ও টাচ ফোন চার্জ দিতে নেওয়া হচ্ছে ৩০ টাকা, টর্চলাইট চার্জ দিতেও লাগছে ৩০ টাকা করে।
কলারোয়া উপজেলার কাকডাঙ্গা মোড়, বোয়ালিয়া, ফকিরপাড়ার মোড়, শাকদাহ, যুগিখালী, বুইতা, মাদরা, গয়ড়া, বুঝতলাসহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে মোবাইল ফোনে চার্জ দিতে মানুষের লম্বা লাইন দেখা গেছে।
জানা যায়, আম্পান ভারতে হানা দিলেও হঠাৎই উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে। সরকারি দফতরগুলোতে সীমিত আকারে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হলেও বাড়িঘর ও বেসরকারি প্রায় সব প্রতিষ্ঠান এখনও বিদ্যুৎহীন। তবে লাইনের কাজ চলছে। সব ঠিক থাকলে আজকালের মধ্যে লাইন চালু করে দেওয়া হবে বলে জানান সংশ্লিষ্ট পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তারা। এই পরিস্থিতিতে ডিজেলচালিত জেনারেটর দিয়ে বিভিন্ন ইলেকট্রিক যন্ত্রের ব্যাটারি চার্জ দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
উপজেলার কেঁড়াগাছি ইউনিয়নের কাকডাঙ্গা বাজারের শফি ডেকোরেটরের দোকানে বাণিজ্যিকভাবে বিভিন্ন ব্যাটারিতে চার্জ দেওয়া হচ্ছে। কাকডাঙ্গা বাজারের মকলেছুর রহমান বলেন, প্রতিটি ফোন চার্জ দিতে নিচ্ছে ৩০ টাকা। এই দুর্যোগের সময় ৩০ টাকা অনেক।
জানা যায়, প্রতিদিন দুইশ’ থেকে তিনশ’ মোবাইল চার্জ দিতে নিয়ে আসছেন বিভিন্ন এলাকার লোকজন। প্রতিটা ফোন ও লাইটে নাম ও মোবাইল নম্বর লিখে রেখে চার্জে দেওয়া হচ্ছে।
কলারোয়ার বিভিন্ন বাজার ও পার্শ্ববর্তী এলাকার অনেকেই এখন ফোনের ব্যাটারি চার্জ দেওয়ার সাময়িক ব্যবসায় নেমেছেন। শামিম নামে এক ব্যাটারি চার্জারের দোকানদার বলেন, এতে দিন শেষে হাজার খানেক টাকা লাভ থাকছে।