বিএনপির একটি বড় অংশ জাতীয় পার্টিতে ভিড়তে চাইছে: এরশাদ
বিএনপির একটি বড় অংশ জাতীয় পা্র্টিতে ভিড়তে চাইছে বলে দাবি করেছেন এইচ এম এরশাদ। আর তাদের দলে নিতেও তার কোনো আপত্তি নেই।
বিএনপিবিহীন সংসদে প্রধান বিরোধী দলের আসনে বসা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ মঙ্গলবার তার জেলা রংপুরে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে এই ইঙ্গিত দেন।
এরশাদ বলার পর সাংবাদিকরা জানতে চান, বিএনপির কারা কারা জাতীয় পার্টিতে যোগ দিতে চাইছে।
তখন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, “এখন এ ব্যাপারে কিছু বলা যাবে না। সময়ে সব জানতে পারবেন।”
তবে তাদের দলে নিতে অনাপত্তির কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “কেউ যদি ইচ্ছে করে আমার জাতীয় পার্টিতে যোগ দিতে চায় তাহলে তাদের নেব না কেন? তারা যদি ভালো নেতা হয়, যোগ্য প্রার্থী হয় তাদের অবশ্যই দলে নেব এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাদের মনোনয়ন দেব।”
বিএনপি বর্জনের মধ্যে নানা নাটকীয়তার মধ্যে দশম সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল জাতীয় পার্টি। এরপর বিরোধী দলের আসনে বসার পাশাপাশি সরকারেও যোগ দিয়েছে দলটি।
নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবি নিয়ে সুরাহা না হওয়ায় বিএনপির আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণ এখনও অনিশ্চিত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলে দিয়েছেন, কারও জন্য নির্বাচন আটকে থাকবে না।
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এরশাদও বলেন, “নির্ধারিত সময়ে সংবিধানের আলোকে একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে অন্য কোনো দল অংশ না নিলেও জাতীয় পার্টি অংশ নেবে। সে প্রস্তুতি আমরা নিয়ে ফেলেছি। নির্বাচনের জন্য দুটি দলই যথেষ্ট।”
জিয়া এতিমখানা দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা নিয়ে ‘হৈ চৈ’ করে লাভ নেই বলেও মন্তব্য করেন এরশাদ।
তিনি বলেন, “রাজনীতি করলে কারাগারে যেতে হয়, এটি রাজনীতির ধারা। আমিও কারাগারে গিয়েছিলাম।
“দুর্নীতির মামলায় বিএনপি নেত্রীর বিচার হয়েছে, রায় দিয়েছেন বিচারক। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া কারাগারে গেছেন। এনিয়ে এত বাড়াবাড়ি, এত হৈ-চৈ করে কী লাভ?”
নেত্রীর মুক্তির দাবিতে বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, “এখন পর্যন্ত তারা ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি দেয়নি। এটা রাজনীতির জন্য ভালো দিক।”
রংপুর সার্কিট হাউসে মতবিনিময়ের সঙ্গে এরশাদের সঙ্গে ছিলেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙা, রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি ও সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির।