বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনে যুক্ত হচ্ছে আরো জাহাজ

১৯৭২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠিত বিএসসি’র বহরে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে মোট ৩৮টি জাহাজ যুক্ত হয়েছিল। পুরনো ও বাণিজ্যিকভাবে অলাভজনক হওয়ায় ধাপে ধাপে ৩৬টি জাহাজ বিক্রি করে দেওয়া হয়।
বর্তমানে রাষ্ট্রায়ত্ব এই প্রতিষ্ঠানের কাছে থাকা দুটি লাইটার ট্যাংকারের গড় বয়স ৩০ বছর। ফলে জাহাজ শূন্য হয়ে পড়ে বাংলাদেশের একমাত্র রাষ্ট্রায়াত্ব এই শিপিং কোম্পানি। তবে চলতি বছরের জুলাই মাসের মধ্যে একটি নতুন জাহাজ বিএসসির বহরে যুক্ত হতে যাচ্ছে। ধাপে ধাপে যুক্ত হবে আরও ৫টি জাহাজ।
মঙ্গলবার দুপুরে বিএসসি’র প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত মত বিনিময় সভায় এসব তথ্য জানান সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কমডোর ইয়াহ্ইয়া সৈয়দ। আগামী ১৫ মার্চ বিএসসি’র বার্ষিক সাধারণ সভা উপলক্ষ্যে সংবাদকর্মীদের সাথে এ মত বিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় বিএসসি’র এমডি বলেন, দেশের বর্তমান চাহিদা বিবেচনায় বিভিন্ন ধরণ ও আকারের কমপক্ষে ৪০-৫০টি জাহাজ থাকা দরকার। কিন্তু বিভিন্ন প্রতিকূলতার কারণে প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান করতে না পারায় বিগত ২৭ বছরে বিএসসি’র বহরে নতুন কোনো জাহাজ সংযোজিত হয়নি। ইয়াহ্ইয়া সৈয়দ জানান, চীন সরকারের আর্থিক সহযোগিতায় নির্মাণাধীন ছয়টি জাহাজের মধ্যে প্রথম জাহাজ ‘বাংলার জয়যাত্রা’ জুলাই মাসে হস্তান্তর করবে। বাকি জাহাজগুলো পর্যায়ক্রমে আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে বহরে যুক্ত হবে।
চায়না ন্যাশনাল ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট মেশিনারিজ করপোরেশন থেকে এক হাজার ৮৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ছয়টি জাহাজ কেনা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এরমধ্যে তিনটি অয়েল ট্যাংকার ও বাকিগুলো বাল্ক ক্যারিয়ার।
এতে চীন সরকার এক হাজার ৪৪৮ কোটি টাকা এবং বিএসসি’র নিজস্ব তহবিল থেকে দেওয়া হচ্ছে ৩৯৫ কোটি টাকা। ‘বাংলার জয়যাত্রা’ নামের জাহাজটি বাল্ক ক্যারিয়ার।
বিএসসির এমডি জানান, জাহাজ ভাড়া হ্রাস এবং পরিচালন ব্যয় বৃদ্ধির পরও ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে ৮ কোটি ৬৫ লাখ টাকা মুনাফা হয়েছে। নতুন ছয়টি জাহাজ বহরে যুক্ত হলে মুনাফার পরিমাণ শত কোটি টাকায় পৌঁছাবে।
২০১৬-১৭ অর্থ বছরে পরিচালন খাতে ৮২ কোটি ১৫ লাখ টাকা এবং অপরিচালনা ও অন্যান্য খাতে ৩৫ কোটি ৮৪