বাংলাদেশ ব্যাংকে ভারতীয় আইটি কনসালটেন্ট নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন
বাংলাদেশ ব্যাংকের আইটি কনসালটেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে রাকেশ আস্থানাকে। ভারতের এই নাগরিক আইটি ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করেছেন বিশ্বব্যাংকে। তাকে নিয়োগ দেওয়ার ক্ষেত্রে মানা হয়নি বাংলাদেশ ব্যাংকের কোন প্রকার নীয়মনীতি।
সূত্র জানায়, গত ৭ মার্চ ঢাকার বনানীর একটি অভিজাত রেস্তোরাঁয় রাকেশ আস্থানার সঙ্গে একান্তে বৈঠক করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান। তারপরদিনই তাকে দেখা যায় বাংলাদেশ ব্যাংকে।
এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে চুরি হওয়া অর্থ ফেরত পেতে বিশ্বব্যাংকের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একজন সাইবার বিশেষজ্ঞ পরামর্শক ও তার Forensic Investigation টিম বাংলাদেশ ব্যাংকের টীমের সাথে কাজ করছেন।
বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী পুলিশ ও র্যাবে আইটি এক্সপার্ট হিসেবে বাংলাদেশীরাই রয়েছে। এর বাইরেও বুয়েটসহ বেশ কিছু আন্তর্জাতিকমানের বিশ্ববিদ্যালয় আছে যেখানে আইটি এক্সপার্ট রয়েছে। বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত অনেক আইটি ফার্মেও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তি রয়েছে। হঠাৎ করেই একজন ভারতীয় নাগরিককে আইটি কনসালটেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের মাঝেও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সকল কম্পিউটারেই একটি বিশেষ সফটওয়্যার ইনস্টল করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সফটওয়্যারটি রাকেশ আস্থানার তৈরি। এ নিয়ে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে খোদ বাংলাদেশ ব্যাংকের আইটি খাত রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনাকারী কর্মকর্তাদের মধ্যে।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকে এসে প্রথম দিনই কাজ শুরু করেন রাকেশ আস্থানার টিম। প্রথম দিনে বাংলাদেশ ব্যাংকের সকল ফ্লোরের ইন্টারনেট পয়েন্ট লাইন চেক করে। কোন পয়েন্টে ইন্টানেটের স্পিড কত তা লিপিবদ্ধ করা হয়। এসময় টুকে নেওয়া হয় প্রতিটি পয়েন্টের আইপি এড্রেস ও সিরিয়াল নম্বর।
নিয়োগ বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের সাবেক এই আইটি ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানা বলেন, হ্যাকিংয়ের এই ঘটনা সংঘটিত হওয়ায় তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, বৈদেশিক মুদ্রা চুরির ঘটনার আইটি ও সাইবার বিষয়ের তদন্ত তিনিই করছেন। তার নেতৃত্বে একটি ফরেনসিক ইনভেস্টিগেশন টিম কাজ করছে। তার নিয়োগের ব্যাপারে অনেকে প্রশ্নওে তুলেছেন।