বাংলাদেশে পুলিশকে বিরোধী মত দমনে ব্যবহার করা হচ্ছে: ক্রাইসিস গ্রুপ
বাংলাদেশে পুলিশকে বিরোধী মত দমনে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছে ব্রাসেলসভিত্তিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ।
‘বাংলাদেশে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব, উগ্রপন্থা ও ফৌজদারি বিচার’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে সংস্থাটি এ মন্তব্য করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে পুলিশকে ‘বিরোধী মত দমনে’ ব্যবহার করা হচ্ছে, নেতাকর্মীদের করা হচ্ছে বিচারের মুখোমুখি। অধিকারকর্মীরা রয়েছেন উগ্রপন্থিদের হুমকির মুখে। আর শিথিল আইনি ব্যবস্থাপনার সুযোগে উগ্রপন্থি সংগঠনগুলো নতুন করে সংগঠিত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে।
বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের ‘বলপ্রয়োগ ও বিচারহীনতার সংস্কৃতির’ কারণে সহিংস রাজনৈতিক দল ও উগ্রপন্থী সংগঠনগুলোই সুবিধা পাচ্ছে বলে মনে করে সংস্থাটি। তারা বলছে, এ দেশের আইন-শৃঙ্খলা সঙ্কটের মূলে রয়েছে ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে বিরোধী মতের দীর্ঘদিনের বৈরিতা। ‘রাজনৈতিক মেরুকরণের শিকার ও অকার্যকর ফৌজদারী বিচার ব্যবস্থায়’ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার বিষয়টি গুরুত্বও পাচ্ছে না। দমননীতির কারণে এক দিকে সরকারের কর্মকাণ্ডের ‘বৈধতা প্রশ্নবিদ্ধ’ হচ্ছে, অন্যদিকে এর মধ্য দিয়ে অন্য পক্ষকে সহিংস জবাব দিতে ‘উসকানি’ দেওয়া হচ্ছে, যা কার্যত উগ্রপন্থিদেরই সুবিধা করে দিচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারকে বুঝতে হবে যে, নিজেদের স্বার্থেই তাদের এ পথ থেকে সরে আসতে হবে। তা না হলে সহিংস উগ্রবাদ এবং বিরোধী রাজনৈতিক হুমকি মোকাবিলায় হয়তো তাদের ব্যর্থ হতে হবে।