দ্বীন ইসলাম নিয়ে কটূক্তি, স্কুল শিক্ষককে গণধোলাই
বরিশাল সংবাদদাতা: বিদ্যালয়ে পাঠদানকালে দ্বীন ইসলাম নিয়ে কটূক্তি ও গরুর গোশত খাওয়া হারাম মন্তব্য করার অভিযোগে উজ্জল কুমার নামের এক সহকারী শিক্ষককে গণধোলাই দিয়ে গ্রামবাসী থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে।
গত রোববার রাতে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার মেদাকুল বাজারে এ গণধোলাইয়ে ঘটনা ঘটে। পরদিন অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে গ্রামবাসী।
এদিকে দ্বীন ইসলাম নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে সহকারী শিক্ষক উজ্জল কুমারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার, সাকিব মোল্লা, সৌরভ হাসান অভিযোগ করে বলেন, রোববার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে দশম শ্রেনীর ২য় ক্লাসে বিজ্ঞান পড়াতে আসে সহকারী শিক্ষক উজ্জল কুমার। স্যারে বিজ্ঞান বিষয়ের ক্লাসে খাদ্যে আমিষ নিয়ে পাঠদানের সময় বলে, আলেম-ওলামাদের দিয়ে গরু কেটে গোশত খাওয়াটা ভন্ডামী। কচ্ছপ খাওয়া উত্তম, গরু খাওয়া হারাম। হুজুররা অপদার্থ। ওই শিক্ষক পাঠাদানের সময় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানায় অন্যান্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি জানাজানি হলে শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
জানা গেছে, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতকারী শিক্ষক উজ্জল কুমার রোববার রাতে মেদাকুল বাজারে আসলে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী তাকে গণধোলাই দেয়। খবর পেয়ে গৌরনদী থানা পুলিশ ওইদিন রাত ৯টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌছে ওই শিক্ষককে থানায় নিয়ে যায়।
এদিকে দ্বীন ইসলাম নিয়ে কটূক্তি করার প্রতিবাদে অভিযুক্ত শিক্ষকের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষুব্ধ ২ শতাধিক গ্রামবাসী গত সোমবার মোদাকুল বাজার থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে ইল্লা-বাকাই সড়ক ধরে বাকাই বাজারে গিয়ে মিছিলটি শেষ হয়।
এ ব্যাপারে গৌরনদী থানার ওসি গোলাম ছরোয়ার জানান, খবর পেয়ে রোববার রাতে অভিযুক্ত শিক্ষককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ওই শিক্ষককে ৫৪ ধারায় বরিশাল আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।