সাবত (শনিবার), ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

দোকান খোলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক: পবিত্র রমজান ও পবিত্র ঈদ সামনে রেখে শর্তসাপেক্ষে ১০ মে থেকে দোকান-পাট ও শপিংমল খোলার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। এই নির্দেশনা মেনেই দোকান খোলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। রাজধানীর মিরপুর-১, ২, ১০, ১১, শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া, তালতলা ও কারওয়ান বাজার এলাকা ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র।

ব্যবসায়ীরা জানান, প্রচুর সংকটের মধ্যে আমাদের দিন যাচ্ছে। এই মুহূর্তে সরকার যে ঘোষণা দিয়েছেন এটি কিছুটা হলেও আমাদের সংকট কাটাতে সহায়তা করবে। তাই এই বন্ধের মধ্যেও আমরা দোকান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করছি। যাতে নির্ধারিত সময়ে সরকারের বিধি-নিষেধ মেনে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান চালু করতে পারি।

এ ব্যাপারে শেওড়াপাড়ার গোল্ড স্টার টেইলার্সের সত্বাধিকারী নুর কামাল খাঁ বলেন, কর্মচারী, দোকান ভাড়া ও বাসা ভাড়া জমে গেছে। এই মুহূর্তে সরকারের দোকান খোলার ঘোষণা ইতিবাচক। ঈদের বাকি যে কয়েকটি দিন আছে সেটিকে কাজে লাগিয়ে আমরা কিছুটা হলেও আর্থিক সংকট থেকে রক্ষা পাবো। শুধু তাই নয়, আমাদের দর্জি সেক্টরে প্রোডাকশন শ্রমিকরা কাজ করে দুটো টাকা আয় করে ডাল-ভাত খেয়ে বাঁচতে পারবেন।

আর্থিক সংকটের মধ্যে আমাদের দিন কাটছে। জমানো কিছু টাকা ছিল সেটিও শেষ হয়ে গেছে। এই মুহূর্তে সরকারের দোকান খোলার ঘোষণা কিছুটা হলেও আমাদের দেনা থেকে মুক্ত করবে বলে জানালেন শেওড়া পাড়ার গিফট কর্নারের মালিক কবির হোসেন।

তিনি বলেন, দোকান দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার কারণে ধুলোর স্তূর জমে গেছে। তাই দোকান পরিষ্কার করছি। আগামী ১০ তারিখ থেকে দোকান চালু করবো।

এদিকে, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে আইজিপি ও বাণিজ্য সচিব আমাকে জানিয়েছেন। সরকারের দেওয়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে আগামী ১০ মে থেকে দোকানপাট ও শপিংমল খোলা রাখবো আমরা।

অপরদিকে গত ৪ মে সরকারের এক নির্দেশনায় বলা হয়, সারাদেশের দোকানপাট, শপিংমলগুলো আগামী ১০ মে থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। এরআগে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা রাখার নির্দেশনা ছিল। পরের নির্দেশনায় একঘণ্টা কমানো হয়েছে।
এতে আরো বলা হয়, রমজান ও ঈদ-উল-ফিতর সামনে রেখে সীমিত পরিসরে ব্যবসা-বাণিজ্য চালু রাখার স্বার্থে দোকানপাট খোলা রাখা যাবে।

Facebook Comments Box