চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর টাকা ছিনতাই

নিপা আক্তার। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইইর ডিপার্টমেন্টের ১ম বর্ষের ছাত্রী। টাকার তাগিদে প্রতিদিন শহরে গিয়ে টিউশিনি করেন তিনি। প্রতিদিনের মত শনিবারও ষোলশহর থেকে টিউশিনি শেষ করে ক্যাম্পাসে ফিরছিলেন। ওইদিন টিউশিনির ৩ হাজার টাকার বেতনও পেলেন। পরীক্ষার শিট কালেকশনে এ জন্য প্রীতিলতা হলে যেতে জিরো পয়েন্ট থেকে রিকশায় উঠেন নিপা।
প্রীতিলতা হলে রিকশাওয়ালা তাকে শহীদ মিনার হয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু রিকশাওয়ালার একটি কাজ আছে বলে নিপাকে নিয়ে যাওয়া হয় দক্ষিণ ক্যাম্পাস দিয়ে। তারপরও রিকশাওয়ালার মতলব বুঝতে পারেননি নিপা। তখন শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা। বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন রাস্তার মোড়ে এসে ঘটল অপ্রীতিকর একটি ঘটনা।
এবার রিকশাওয়ালা ভ্রু পাল্টে গেল। ভিলেন হয়ে সিনেমার স্টাইলে প্যান্টের পকেট থেকে বের করলো একটি বোতল। রিকশাওয়ালা নিপাকে বলল, ‘এ বোতলে গ্যাস আছে। তা মুখে স্প্রে করলে অজ্ঞান হয়ে যাই। তাই ব্যাগে যা কিছু আছে তা বের করে দিয়ে দাও।’
ভয়ে নিপা আক্তার আর দেরি করেন নি। ব্যাগে টিউশিনি থেকে পাওয়া ৩ হাজার টাকা ও যা কিছু ছিল তা দিয়ে দিলেন ওই রিকশাওয়ালাকে। এভাবে অভিনব কায়দায় সিনেমা স্টাইলে নিপা থেকে টাকাসহ জিনিসপত্র ছিনতাই করলো ওই রিকশাওয়ালা।
এ ঘটনায় নিপা আক্তার বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অফিসে ছিনতাইয়ের লিখিত অভিযোগ করেছেন। এর আগেও বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ কয়েকটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে ক্যাম্পাসে।
নিপা আক্তার বাংলামেইলকে বলেন, ‘সামনে পরীক্ষা তাই শিট কালেকশন করতে প্রীতিলতা হলে রিকশা করে যাচ্ছিলাম। কিন্তু রিকশাওয়ালা তিন রাস্তার মোড়ে এসে পাঁচশত টাকা ভাংতি চাই। আমার কাছে সব পাঁচশ টাকার নোট বলার সাথে সাথে পকেট থেকে রিকশাওয়ালা একটি বোতল বের করে। পরে মুখে স্প্রে মেরে অজ্ঞান করে ফেলবে বলে, যা কিছু আছে তা দিয়ে দিতে বলে। আমি ভয়ে ব্যাগে থাকা টিউশিনি টাকা ও কিছু জিনিসপত্র দিয়ে দিই। পরে রিকশাওয়ালা এসব নিয়ে দ্রুত ছিটকে পরে।’
লিখিত অভিযোগের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর নিয়াজ মোর্শেদ রিপন বাংলামেইলকে বলেন, ‘নিপা নামে একটি মেয়ে ছিনতাইয়ের একটি অভিযোগ আজ দিয়েছে। আমরা ওই মেয়েটিকে নিয়ে রিকশাওয়ালাকে শনাক্ত করে ব্যবস্থা নিব।’