সাবত (শনিবার), ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

 ‘গোল্ডেন তরমুজ’ চাষে স্বাবলম্বী সোনারগাঁও’র কৃষক

 ‘গোল্ডেন তরমুজ’ চাষে স্বাবলম্বী সোনারগাঁও’র কৃষক

নারায়নগঞ্জ সংবাদদাতা: মাচায় তরমুজ চাষ করে লাভবান হচ্ছেন নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার গৌরিবদী গ্রামের একমাত্র কৃষক রমজান আলী। জেসমিন-২, গোল্ডেন ক্রাউন ও ব্লাক প্রিন্স জাতের হলুদ ও সবুজ তরমুজ দেখতে যেমন সুন্দর, খেতেও তেমন সুস্বাদু। এ কারণে এর চাহিদাও বেশি। এ তরমুজ বিদেশে রপ্তানিরও সম্ভাবনা রয়েছে।

উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা বলেন, সোনারগাঁও উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের গৌরিবদী গ্রামের ৩ বিঘা জমিতে মাচায় তরমুজ চাষ করেছেন রমজান। গোল্ডেন ক্রাউন জাতের তরমুজের ওপরের রং হলুদ ও ব্লাক প্রিন্স জাতের তরমুজের ওপরের রং গাঢ় সবুজ। দুটি জাতের তরমুজের ভেতরের রং গাঢ় লাল ও খেতে বেশ সুস্বাদু। আগামী বছর অন্তত আরও ৫-৬ বিঘা জমিতে এই তরমুজ চাষ হবে।

কৃষক রমজান আলী মাঠে অন্য ফসলের চাষ বাদ দিয়ে তরমুজ চাষ করছেন। আশা করি রমজান আলীর দেখাদেখি আগামী বছর এ গ্রামের প্রতিটি মাঠে মাচায় ঝুলবে তরমুজ। জেলার অন্য উপজেলায়ও কৃষকরা তরমুজ চাষে আগ্রহী হবেন। গ্রীষ্মকালীন এ জাতের তরমুজ কৃষকরা মাচায় চাষ করেন। বীজ বপনের দুই মাস পর গাছে ফল ধরতে শুরু করে।

গোল্ডেন ক্রাউন জাতের তরমুজের চাহিদা বেশি। এ জাতের তরমুজ বাজারে প্রায় ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। আর ব্লাক প্রিন্স তরমুজ ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। এ তরমুজের চাহিদা দেশের বিভিন্ন জেলায় রয়েছে। আগামী বছর তুলনামূলক বেশি জমিতে তরমুজ আবাদ হবে বলে মনে করছি। হদুল রঙের তরমুজের চাহিদা বেশি।

কৃষক রমজান আলী বলেছেন, বাজার দর ভালো থাকলে তরমুজ চাষ করে প্রতি বিঘায় প্রায় ১ লাখ টাকা লাভ হয়। আর বিঘা প্রতি ৬০ মণ তরমুজ বিক্রি করা যায়। এ চাষে কোনো লোকসান হয় না। বীজ বপনের দুই মাস পর ফল পাওয়া যায়। খরচ তুলনামূলক কম হওয়ায় লাভ বেশি। এ বছর এক লাখ টাকা বিক্রি করেছি। আশা করছি আরও এক লাখ টাকা বিক্রি করতে পারব।

Facebook Comments Box