জুমুআ (শুক্রবার), ০৪ অক্টোবর ২০২৪

গুলশান হামলায় ২০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি

আরএফএন ডেস্কঃ সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার কারণে আগামী মৌসুমে দুই থেকে আড়াইশত কোটি ডলার মূল্যের পোশাক তৈরির কাজ হারাতে পারে বাংলাদেশ। সন্ত্রাসী হামলার কারণে নিরাপত্তা শঙ্কায় বিদেশি ক্রেতারা দেশে আসতে ভয় পাচ্ছেন। নির্ধারিত সময়ে পোশাক নিতে তারা অন্য কোন দেশে চলে যেতে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন পোশাক ক্রেতাদের সঙ্গে সরাসরি কাজ করে বাংলাদেশের বায়িং হাউজ পরিচালনাকারীদের সংগঠনের নেতারা। ফলে এবার দুই থেকে আড়াইশত কোটি ডলার মূল্যর পোশাকের অর্ডার হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।

শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির ভিআইপি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানিয়েছেন তারা। বাংলাদেশ গার্মেন্ট বায়িং হাউজ অ্যাসোসিয়েশন(বিজিবিএ) সংবাদ সম্মেলনটি আয়োজন করে।

এসময় তারা বলেন, পশ্চিমা দেশের ক্রেতারা জুলাই-আগস্টের গ্রীষ্মকালীন মৌসুমে মোট পোশাক অর্ডারের ৬০ শতাংশের অর্ডার দিয়ে থাকে এসময়ে। এখন ক্রেতারা অর্ডার দিয়ে গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে চলে যাবেন। অর্ডার নেয়ার এখনই উপযুক্ত সময়। এর মধ্যে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ অর্ডার অন্য দেশে চলে গেলে এ খাতে দুই থেকে আড়াইশত কোটি ডলারের কাজ পাবে না বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা।

বক্তারা দাবি করছেন, নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত হয়ে আছেন বিদেশি ক্রেতারা। গুলশানের সন্ত্রাসী হামলায় নিহত নয়জন ইতালীয় নাগরিকই ছিলেন পোশাক ক্রেতা। ইউরোপের দেশগুলোতে এ নিয়ে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছে। এরপরেই বাংলাদেশের নিরাপত্তা নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং ব্রিটিশ পার্লামেন্টে আলোচনা হওয়ায় বিদেশিদের শঙ্কা আরো বেড়ে গিয়েছে।

বিশ্বের অন্যতম বড় ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠান এইচ এন্ড এম বাংলাদেশ থেকে পোশাক নিতে অনীহা প্রকাশ করতে শুরু করেছেন। অনেক প্রতিষ্ঠানই বাংলাদেশ থেকে তাদের ব্যবসা সংকোচনের কথা ভাবছেন বলেই জানিয়েছেন আয়োজক সংগঠনের নেতারা।

এ পরিস্থিতিতে উত্তরণে দল-মত নির্বিশেষে সরকারকে বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে। সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া না গেলে এর প্রভাব হবে দীর্ঘ মেয়াদী বলেও জানান তারা।

সংবাদ সম্মেলনে বিজিবিএ সভাপতি কাজী ইফতেখার হোসাইন বাবুলসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

Facebook Comments Box