গুজরাতে স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন করে স্বামী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
দাম্পত্য জীবনে ঝামেলার জেরে স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন করলেন এক ব্যক্তি। দুই সন্তানকেও কুড়ুল দিয়ে কোপানোর পর নিজেও চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হলেন।
গুজরাতের ভাদোদরা থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত করজান তেহসিলের মিঞাগাঁওয়ে এই ভয়ঙ্কর ঘটনাটি ঘটেছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম বলবন্ত রায়পালসিংহ সিন্ধা(৩৫)। শনিবার সাত সকালে কুড়ুল নিয়ে প্রথমে স্ত্রী দক্ষাকে (৩২) কোপান তিনি। বাধা দিতে এলে ১২ ও ১০ বছর বয়সী দুই ছেলে অজয় ও চেতনের গায়েও কোপ বসান তার পর সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। করজান রেল স্টেশনের কাছে চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হন।
মিঞাগাঁও থানার সাব ইনস্পেক্টর আরজি দেশাই জানান, রক্তাক্ত অবস্থায় স্ত্রী ও দুই ছেলেকে ফেলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান বলবন্ত। পাড়া-প্রতিবেশীরা মিলে কোনওরকমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায় তাদের। সেখানে দক্ষাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা। ছেলে দুটি প্রাণে বেঁচে গিয়েছে। তবে তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ভাদোদরার স্যার সায়াজিরাও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
বাড়ি থেকে বেরিয়ে বলবন্ত করজান রেল স্টেশনের কাছে লাইনের উপর আত্মঘাতী হয় বলে জানিয়েছেন সাব ইনস্পেক্টর আরজি দেশাই। লাইনের উপর থেকে তার দেহ উদ্ধার হয়। বলবন্তের গায়ে উল্কি আঁকা ছিল। মৃতদেহের কাছ থেকে মেলে মোবাইলের সিমকার্ড। লাইনের পাশে হদিশ মেলে সাইকেলটিরও। সেগুলির মাধ্যমে পুলিশ তাকে শনাক্ত করে বলে জানা গিয়েছে।
মিঞাগাঁওয়ের স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ১৮ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল বলবন্ত ও দক্ষার। কিন্তু দুজনের মধ্যে বনিবনা ছিল না একেবারেই। সারাক্ষণ ঝামেলা লেগেই থাকত। তার জেরেই জীবনের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে বলবন্ত এ কাজ করেছে বলে মনে করছেন অনেকে।