গেল বছর ছয় পরাশক্তির সঙ্গে ‘পরমাণু চুক্তি’র আগে ইরানের সঙ্গে পশ্চিমাদের উত্তেজনার নানাপর্ব প্রামাণ্যচিত্রটিতে দেখানো হয়েছে, যার মধ্যে ইরানের নাতানজ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের যৌথ স্টাক্সনেট সাইবার হামলাও রয়েছে। ওই হামলায় নাতানজের সেন্ট্রিফিউজ সিস্টেম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল অবশ্য কখনোই আনুষ্ঠানিকভাবে স্টাক্সনেট হামলার কথা স্বীকার করেনি। প্রামাণ্যচিত্রে এ ধরনের হামলার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করতে গিয়েই ‘নাইট্রো জিউস’ এর অস্তিত্ব উদ্ঘাটিত হয় বলে জানিয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস। ‘নাইট্রো জিউস’ হচ্ছে ইরানের বিমান নিরাপত্তা, যোগাযোগ ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনায় বিস্তৃত আকারে সাইবার হামলার চালানোর কোডনেম। গেল বছর ইরানের সঙ্গে ‘চুক্তি’ হওয়ার পর পেন্টাগন পরিকল্পনাটি ‘স্থগিত’ করে।
ইরান যদি যুক্তরাষ্ট্র এবং মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় তাহলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার হাতে ‘যুদ্ধ ছাড়া’ও যেন বিকল্পপন্থা থাকে তা নিশ্চিত করতে পেন্টাগন ওই পরিকল্পনা করেছিল বলে নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে। দশ মিলিয়ন ডলারের ওই পরিকল্পনায় ইরানের কম্পিউটার নেটওয়ার্কে বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি বসানোরও চিন্তা ছিলো। একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ইরানের কওম শহরের কাছে পাহাড়ের ভেতর থাকা ফোর্ডো পরমাণু সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রকে অকার্যকর করে দেয়ার জন্য আরও একটি গোপন সাইবার হামলার পরিকল্পনা করেছিল বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। সাইবার হামলার এ বিষয়ে কথা বলতে পেন্টাগন, হোয়াইট হাউজ, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ এবং ডিরেক্টর অব ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স অস্বীকৃতি জানিয়েছে।