আরবিয়া (বুধবার), ২১ মে ২০২৫

ইশার আযান বন্ধ করায় পৌর মেয়রকে লিগ্যাল নোটিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: গত ২৫ মার্চ শহীদদের স্মরণে বগুড়াবাসীর লক্ষাধিক মোমবাতি প্রজ্বালন অনুষ্ঠানের আয়োজক বগুড়া জেলার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞয়াকে সুপ্রীমকোর্টের এক আইনজীবি লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন। আজ সোমবার সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবি মাসুদুজ্জামান রেজিস্ট্রি ডাকযোগে এ নোটিশটি পাঠান।
নোটিশে বলা হয়েছে, সংবিধানে বর্ণিত রয়েছে প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। যারফলে সাধারন মুসলমানগণ মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন দেশের সব জায়গায় সব অনুষ্ঠান মুসলমানগণের দ্বীনি অনুশাসন মেনেই অনুষ্ঠিত হবে। অথচ এ বিষয়টিকে পাশ কাটিয়ে সম্পূর্ন হীন উদ্দেশ্যে মুলমানগণকে সুকৌশলে অন্য ধর্মের আমল করাবার প্রচেষ্টা করা হয়েছে। যা দেশের অগণিত দ্বীনদার মুসলমানগণের মনে চরমভাবে আঘাত লেগেছে।
নোটিশে আরো বলা হয়, হিন্দু ধর্মের দিপাবলীর দিন মোমবাতি জালিয়ে পূজা অর্চনা করা হয়। মোমবাতি জ্বালিয়ে পূজা ও ধ্যান করা বৌদ্ধ ধর্মের অংশ হিসেবে বিবেচিত। মৃত ব্যক্তিদের জন্য মোমবাতি জ্বালানোর ধর্মীয় রীতি ইহুদী ধর্মেও রয়েছে। এছাড়াও প্যাগান, খ্রিস্টান, শিখ ও জৈনসহ অন্যান্য ধর্মের লোকজনও তাদের বিভিন্ন ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে মোমবাতি জ্বালিয়ে তাহাদের ধর্মীয় অনুসঙ্গ পালন করে থাকে। তাদের ধর্ম বিশ্বাসে পরবর্তী জীবনের বেশিরভাগ অংশই হচ্ছে অন্ধকারাচ্ছন্ন, তাই তারা মৃতদেরকে আলোকিত করতে এই আলো দেয়া। কিন্তু মুসলমানগণের কোন দ্বীনি অনুষ্ঠানে মোমবাতি জ্বালানোর কোন বিধান পরিলক্ষিত হয় না। বরং দ্বীন ইসলামে শহীদ ব্যক্তিদের স্মরন করার সুনির্দিষ্ট নিয়ামাবলী রয়েছে, যেমন- ঈসালে ছাওয়াব মাহফিল, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল ইত্যাদি অনুষ্ঠান । দ্বীন ইসলামে যা নাই অর্থাৎ মুসলমানদেরকে দিয়ে অন্য ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান করানো প্রকারান্তরে মুসলমানগণের দ্বীনি অনুভুতি চরমভাবে আঘাত ।
নোটিশে আগামী সাত কার্য দিবসের মধ্যে উক্তরুপ কাজের জন্য ক্ষমা চেয়ে মিডিয়াতে প্রচার করার জন্য অনুরোধ করা হয়। অন্যথায় মুসলমানগণের দ্বীনি অনুভুতিতে আঘাত দানের জন্য এবং মুসলমানগনকে অন্য ধর্মীয় অনুষ্ঠান প্রতিপালনের জন্য দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Facebook Comments Box