আসছে মাহে রমাদ্বান শরীফ
বছর ঘুরে ফের আসছে মাহে রমাদ্বান শরীফ। আসন্ন মহাপবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস হচ্ছে- শাহরুন আ’যীম অর্থাৎ মহাসম্মানিত মাস। সুবহানাল্লাহ! মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস এর দিনের বেলায় রোযাকে ফরয করেছেন ও মহাপবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস এর রাত্রি বেলায় পবিত্র ক্বিয়ামুল লাইল অর্থাৎ পবিত্র তারাবীহ নামাযকে সুন্নত করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
এই পবিত্রতম রমাদ্বান শরীফ এমন এক মহান পবিত্রতম মাস যার প্রথম ১০ দিন পবিত্রতম রহমত এ পরিপূর্ণ, মধ্যম ১০ দিন মাগফিরাতে পরিপূর্ণ, শেষোক্ত ১০ দিন জাহান্নাম থেকে মুক্তিলাভ।
আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস যখন সমাগত হয় তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি আকাশের দ্বার সমূহ, পবিত্র রহমত এর দ্বার সমূহ, পবিত্র জান্নাত এর দ্বার সমূহ উন্মুক্ত করে দেন। পক্ষান্তরে জাহান্নামের দ্বারগুলো বন্ধ করে দেন। আর (শয়তান যাতে করে মানুষকে ওয়াসওয়াসা দিতে না পারে সে জন্য) ইবলিশ শয়তানকে শৃংখলে বন্দি করে রাখেন। সুবহানাল্লাহ!
পবিত্র হাদীস শরীফে রোযাকে বলা হয়েছে জুন্নাহ বা ঢালস্বরূপ। কারণ রোযার মাধ্যমে বান্দারা দোযখের আগুন থেকে রক্ষা পায়। এ মাসের প্রতি রাতে আল্লাহ তায়ালা জাহান্নাম থেকে বহু মানুষকে মুক্তি দান করেন।
যে ব্যক্তি এ পবিত্র মাসে কোনো রোযাদারকে ইফতার করাবে, এটা তার জন্যে গুনাহ মাফ ও দোযখের আগুন হতে নাজাতের কারণস্বরূপ হবে। আর সে রোযাদারের সমান ছাওয়াব পাবে, অথচ রোযাদারের ছাওয়াবও কম হবে না। সুবহানাল্লাহ!
পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস আসলে আমরা সবাই বলি এই পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস এর পবিত্রতা রক্ষা করা সকলের ঈমানী দায়িত্ব-কর্তব্য। এই পবিত্র মাস আত্নসংযমী, তাকওয়া ও পরহেযগারী হাছিলের মাস। ঈমান, আমল, আক্বীদা বিশুদ্বকরনের মাস ও নিষ্পাপ জিন্দেগী হাছিলের মাস। পক্ষান্তরে অন্যায়, অপকর্ম, নোংরামী, মদ-জুয়া, নাচ, গান-বাজনা, চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই, খুন-খারবী, রাহাজানি, মারামারি, গালিগালাজ, বেপর্দা, বেহায়াপনা, অশালীন বিলবোর্ড, ছবি, টিভি চ্যানেল, যাবতীয় অশ্লীলতা থেকে বিরত থাকার মাস পবিত্র রমাদ্বান শরীফ উনার মাস। এই কথাগুলো সকল মুসলমানগণ বলে এবং তা যথাযথ পালন করার চেষ্টা করে। তাছাড়া সকল রাজনৈতিক নেতা-নেত্রী তারা যেকোন ধর্মের হোকনা কেন তারাও এখন এই কথা গুলো পবিত্র রমাদ্বান শরীফ উনার পবিত্রতা রক্ষার্থে ও সম্মানার্থে বলে থাকে। যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় তা বন্ধ করাই হচ্ছে সরকারের বড় পৃষ্ঠপোষকতা, সবচাইতে বড় গুরু দায়িত্ব ও কর্তব্য। তাহলে আগামী ১১টি মাস দেশ ও জাতি পরিপূর্ণ শান্তভাবে পরিচালিত হবে। দেশে কোন অরাজকতা অনৈতিকতা এবং অশ্লীলতা থাকবে না। সুবহানাল্লাহ!